মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
বাজার দর

মুরগির দাম লাগামহীন কমেনি চালের দাম

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

এক মাসের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০০ টাকা বেড়েছে। অন্যদিকে আবারও বেড়েছে সরু চালের দাম। গত সপ্তাহে চাল আমদানি ও বাজার দাম পরিস্থিতি নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠকের পর নতুন করে কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে। তবে অন্য চাল আগের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে।

চালের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি চাল কম এসেছে। আবার আমন মৌসুম শেষ পর্যায়ে। দুই মাস পরে বোরো মৌসুমের ধান উঠবে। এ কারণে এখন চালের দাম কমেনি। উল্টো সরু চালের দাম বেড়েছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, সরু চালের দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য মতে, সরু চালের মধ্যে মিনিকেট এখন ৬২ থেকে ৬৬ টাকা ও নাজিরশাইল ৬২ থেকে ৭০ টাকা। মৌসুমের শেষ সময়ে নাজিরশাইল চালের কেজিতে ৪ টাকা বেড়েছে। এছাড়া মাঝারি চাল ৫০ থেকে ৫৬ টাকা ও মোটা চাল ৪৪ থেকে ৪৮ টাকায় গত দুই সপ্তাহ ধরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। দেশি, লেয়ার ও সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে। এখন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। টিসিবির তথ্যে এক মাসের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ বা কেজি প্রতি ২০ টাকা। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে দেশি মুরগি এখন ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা হয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এক মাসের ব্যবধানে সোনালি মুরগির কেজিতে ১০০ টাকা বেড়েছে। এখন প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত মাসেও এই মুরগি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি ছিল।

মিরপুরের উত্তরপীরেরবাগ বাজারের বিক্রেতা শফিকুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় এখন বিভিন্ন অনুষ্ঠান বেড়েছে। এ কারণে মুরগির চাহিদা হঠাৎ করে অনেক বেড়ে গেছে। ফলে বাজারে মুরগির দাম বাড়ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে টানা বাড়ছে সব ধরনের মুরগির দাম।

নির্ধারিত দামে সব ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে না। কিছু দোকানে নির্ধারিত দরে খোলা তেল বিক্রি হলেও এখনো বেশির ভাগ দোকানে বাড়তি দাম নিচ্ছেন। তবে বোতলজাত সয়াবিন তেল নির্ধারিত দরে বিক্রিতে

\হফিরছেন ব্যবসায়ীরা। এখন সরকার নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার খুচরায় সর্বোচ্চ খোলা সয়াবিন ১১৫ টাকা ও বোতলজাত সয়াবিন ১৩৫ টাকা এবং ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন খুচরা ৬৩০ টাকা। তাছাড়া খোলা পাম সুপার প্রতি লিটার খুচরায় সর্বোচ্চ ১০৪ টাকা দাম নির্ধারণ হয়। রাজধানীর বাজারে বেশির ভাগ দোকানে এখন খোলা সয়াবিন ১১৫ থেকে ১১৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বোতলজাত সয়াবিন প্রতি লিটার ১৩৫ টাকা। আর ৫ লিটার বোতল ৫৯০ থেকে ৬৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। খোলা পাম তেলের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় হেরফের নেই। প্রতি লিটার খোলা পাম সুপার তেল ১০৬ থেকে ১০৮ টাকা ও পাম তেল ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টিসিবের তথ্যেও এখন খোলা তেল নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। পাম সুপার তেল লিটারে ৩ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া পেঁয়াজের দাম কেজিতে প্রায় ৫ টাকা কমেছে। এখন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা ও আমদানি পেঁয়াজ ১৮ থেকে ২০ টাকায় নেমেছে। তবে আমদানি করা রসুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি নতুন রসুন মিলছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। এছাড়া বাজারে আলু, টমেটো, শিম, বেগুন, মুলার কেজি এবং প্রতিটি ফুল ও বাঁধাকপিসহ বেশির ভাগ সবজি ১০ থেকে ২০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। মৌসুম না থাকায় শুধু করলার কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে