মুশতাকের মৃতু্যতে তোলপাড়

অপমৃতু্যর মামলা দায়ের কারা কর্তৃপক্ষের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি

প্রকাশ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মুশতাক আহমেদ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় আটক লেখক মুশতাক আহমেদ কারাবন্দি অবস্থায় মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুরের হাই-সিকিউরিটি কারাগারে তার মৃতু্য হয়। শুক্রবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে মুশতাক আহমেদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে লাশের সুরতহাল করার সময় তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন গাজীপুর জেলা নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মো. অসিউজ্জামান চৌধুরী। এদিকে মুশতাকের মৃতু্যতে কারা কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি আছে কি না, তা তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মুশতাক আহমেদের মৃতু্যর ঘটনায় কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে গাজীপুর মহানগরের সদর থানায় অপমৃতু্য মামলা করেছেন। মুশতাককে কারাগারে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। এ সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিও জানান তারা। মুশতাকের মৃতু্যর খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠেন কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। শুক্রবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ মিছিল থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ঘেরাওসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো। বিএনপি, জাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যে গত বছরের ৬ মে মুশতাক আহমেদকে গ্রেপ্তার করের্ যাব। তার সঙ্গে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন 'সরকারবিরোধী প্রচার ও গুজব ছড়ানোর' অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করা হয়। গ্রেপ্তারের পর মুশতাককে পাঠানো হয়েছিল ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে; সেখান থেকে ওই বছরের ২৪ আগস্ট তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার এসআই জামশেদুল ইসলাম তখন বলেছিলেন, কার্টুনিস্ট কিশোর তার 'আমি কিশোর' নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনামূলক কার্টুন-পোস্টার পোস্ট করতেন। আর মুশতাক তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কিশোরের সেসব পোস্টের কয়েকটি শেয়ার করেন। র্ যাব ৩-এর ডিএডি আবু বকর সিদ্দিকের করা এই মামলায় রাষ্ট্রচিন্তার সংগঠক দিদারুল ভূইয়া এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে পরে এ দুজন জামিনে মুক্তি পান। মুশতাক ও কিশোরের পক্ষে বেশ কয়েকবার জামিনের আবেদন হলেও তা আদালতে না-মঞ্জুর হয়। র্ যাবের করা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ফেসবুক ব্যবহার করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, করোনাভাইরাস মহামারি সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র/সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিপ্রায়ে অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছড়ানো, অস্থিরতা-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারার অভিযোগ আনা হয়েছিল। হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে কিশোর ও মুশতাকের সঙ্গে তাসনিম খলিল, জুলকারনাইন সায়ের খান, শাহেদ আলম, আসিফ মহিউদ্দিনের 'ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ' পাওয়ার দাবিও করেছিলর্ যাব। এই মামলায় আসামির তালিকায় মুশতাক, কিশোর, দিদার, মিনহাজের সঙ্গে আরও ছিলেন নেত্র নিউজের সম্পাদক সুইডেন প্রবাসী তাসনিম খলিল, জার্মানিতে থাকা বস্নগার আসিফ মহিউদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক শাহেদ আলম, হাঙ্গেরি প্রবাসী জুলকারনাইন সায়ের খান (আল জাজিরার প্রতিবেদনের স্যামি), আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ ও ফিলিপ শুমাখারও ছিলেন। তবে তদন্তের পর পুলিশ শুধু মুশতাক, কিশোর ও দিদারকে আসামি করে এই মাসের শুরুতে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। বাকি আট আসামিকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ছোট বালাপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মুশতাক। তবে তিনি ঢাকার লালমাটিয়ায় বসবাস করতেন। অনলাইনে লেখালেখিতে তিনি বেশ সক্রিয় ছিলেন। যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার সুযোগে ফ্রান্সের বিভিন্ন খামার ঘুরে দেখে এক যুগ আগে দেশে ফেরার পর ময়মনসিংহের ভালুকায় দেশের প্রথম কুমির খামার করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশ থেকে কুমির রপ্তানি তার হাত দিয়েই শুরু হয়। এ বিষয়ে একটি বইও লিখেছেন তিনি। কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুশতাক আহমেদ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে কারাগারের ভেতর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে প্রথমে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন। তবে, ৫৩ বছর বয়সি মুশতাকের মৃতু্যর কোনো কারণ জানাতে পারেননি কারা কর্মকর্তারা। কারা কতৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার বেলা ১১টায় গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. অসিউজ্জামান চৌধুরী লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। এরপর গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক মো. সাফি মোহাইমেন লাশের ময়নাতদন্তের কাজ শেষ করেন। ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ দুপুর সাড়ে ১২টায় লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। মুশতাকের চাচাতো ভাই নাফিসুর রহমানসহ অন্য স্বজনরা লাশ বুঝে নেন। গাজীপুর জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. অসিউজ্জামান চৌধুরী বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। এর আগে গাজীপুর হাসপাতালের মর্গে যান মুশতাকের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুরা। মর্গের সামনে তারা আহাজারি করেন। আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুরা দাবি করে বলেন, কারাগারের বাইরে থাকলে হয়তো তাকে এভাবে মরতে হতো না। মুশতাকের মৃতু্যতে পরিবার-পরিজন ও সবার অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। অন্যদিকে শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কারাবন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদকে কারাগারে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। মুশতাকের মতো একজন অরাজনৈতিক নিজস্ব চিন্তার লেখকের মৃতু্যর সঙ্গে রাষ্ট্রশক্তি জড়িত। বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে মুশতাকের গায়েবানা জানাজা-পূর্ব সমাবেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুলস্নাহ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। যারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও জানান তিনি। একই সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, মুশতাক আহমেদকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৯ মাস জেলে রাখা হয়। ছয়বার তার জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়। তিনি আরও বলেন, এ সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য, ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য এবং নিজেদের বাঁচাতে। এই আইন মানুষের টুটি চেপে ধরেছে। রাষ্ট্র আর জনগণের নেই। রাষ্ট্রকে তারা খুনি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। সবাইকে জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা ফিরোজ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, কবি ও সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ প্রমুখ। মুশতাক আহমেদের মৃতু্যর দায় সরকার তথা রাষ্ট্রকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া। শুক্রবার তোপখানায় ভাষা আন্দোলনের চিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, মুশতাকের মৃতু্যর দায় সরকার তথা রাষ্ট্রকেই গ্রহণ করতে হবে। নিরপেক্ষ তদন্ত করে এই মর্মান্তিক ঘটনার বিচার জরুরি। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) পক্ষ থেকে শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃতু্যর দায় সরকার ও প্রশাসন এড়াতে পারে না। কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃতু্য রাষ্ট্র ও সরকারের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। কারাগারে মুশতাক আহমেদের মৃতু্যর দায় সরকার ও প্রশাসন এড়াতে পারে না। বিবৃতিতে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক সব সাংবাদিক ও লেখকের জামিনের দাবি জানানো হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃতু্যতে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। শুক্রবার বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, মানুষের কণ্ঠরোধ করার ধীকৃত আইনে কারা অন্তরীণ লেখকের মৃতু্যতে ক্ষমতাসীনদের প্রতি মানুষের ঘৃণা ও প্রতিবাদের প্রকাশ সব শোককে অতিক্রম করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃতু্যতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহারের দাবি করেছে বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ। শুক্রবার বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের সভাপতি কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু এবং সাধারণ সম্পাদক কবি দীপংকর গৌতম এক বিবৃতিতে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আমাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। এই আইনের অপপ্রয়োগে লেখক-সাংবাদিকদের নির্ভয়ে মতপ্রকাশের জায়গাকে সংকুচিত করেছে। এদিকে, মুশতাককে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে দোষীদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বেশ কয়েকটি বামপন্থি ছাত্র সংগঠন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পরীবাগ ঘুরে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন সংগঠনগুলোর শতাধিক নেতাকর্মী। এক ঘণ্টার বেশি সময় বিক্ষোভকারীদের অবস্থানের কারণে শাহবাগ মোড়ের চারপাশের রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। সেখান থেকে ১ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এরপর দুপুরে টিএসসি অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়। শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (বাসদ) কেন্দ্রীয় সভাপতি আল কাদেরী জয় বলেন, সরকার দেশে লুটপাট ও মাফিয়াতন্ত্র তৈরি করেছে। পুরো দেশকে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে সরকার জনগণের কণ্ঠরোধ করছে। তারই বলি হয়েছেন লেখক মুশতাক। অবিলম্বে এই নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানাই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স বলেন, অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলায় লেখক মুশতাককে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে তিলে তিলে হত্যা করা হয়েছে। ছয় ছয়বার জামিন আবেদন করা হলেও তাকে জামিন দেওয়া হয়নি। তার অপরাধ ছিল তিনি এই মহামারিতে ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি, লুটপাট ও স্বাস্থ্য খাতের অব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলেছিলেন। তার অপরাধ ছিল তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন। দীর্ঘ ১১ মাস কারাগারে নির্মমভাবে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।