উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে বাংলাদেশ

এ অর্জন দেশের জন্য গৌরবের -মোহাম্মদ হাতেম

জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে। শুধু তাই নয়, করোনা মহামারির কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ তিন বছরের প্রস্তুতিমূলক সময়সীমা বাড়িয়ে পাঁচ বছর করার জন্য গত জানুয়ারিতে যে প্রস্তাব দিয়েছিল সেটিও গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ। ২০২৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়া হবে বাংলাদেশকে। এ নিয়ে কি ভাবছেন বিশিষ্টজনেরা, তাই তুলে ধরেছেন আহমেদ তোফায়েল

প্রকাশ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মর্যাদা পেলে রাপ্তানিকারক হিসেবে তারা তেমন সুবিধা পাবেন না। তবে রাষ্ট্র হিসেবে এ অর্জন গর্বের। তিনি বলেন, কোনো দেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে একটি নির্দিষ্ট সময় পর প্রাপ্ত বাণিজ্য সুবিধাগুলো হারাতে থাকে। অর্থাৎ স্বল্পোন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ এখন যে পোশাকে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা, ওষুধ খাতে সুবিধা, মেধাস্বত্ব সুবিধাসহ যেসব সুবিধা পাচ্ছে, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়ার পর সেগুলো নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। অর্থাৎ যেসব সহজ সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যেত সেগুলো থেকে বাংলাদেশ বঞ্চিত হবে। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারের দক্ষ নেগোসিয়েশনের উপর নির্ভর করবে আমরা এ সুবিধাগুলো কতটুকু আদায় করে নিতে পারব। এ জায়গায় আমরা মনে করি, যদি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা দপ্তর এসব জায়গায় ঠিকভাবে নার্সিং করে তাহলে আমাদের সুযোগ-সুবিধাগুলো অব্যাহত থাকতে পারে। মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে আমাদের জিএসপি পস্নাস সুবিধা নিতে হবে। এর আওতায় অবশ্য অনেক শর্ত থাকবে। সেক্ষেত্রে বিষয়গুলো সরকারের দক্ষতার ওপর নির্ভর করবে।