বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাকস্বাধীনতার চর্চা রাষ্ট্রবিরোধী হতে পারে না :টিআইবি

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃতু্যতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের জোর দাবি জানিয়েছে।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়ে।

বলা হয়,

\হডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি করে তথাকথিত প্রভাবশালীগোষ্ঠীর হাতে ভিন্নমত দমনের মোক্ষম হাতিয়ার তুলে দেওয়া হয়েছে। মুশতাকের মৃতু্যই প্রমাণ করে সরকার তথা রাষ্ট্রযন্ত্রের সমালোচনা সহ্য করার মতো সৎসাহস নেই। সরকারের দুর্নীতি এবং অনৈতিক ও অন্যায় কাজের সমালোচনা করতে ব্যক্তি যে বাক্‌স্বাধীনতার চর্চা করেন, তা কোনো অর্থেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত হতে পারে না। গণতন্ত্র ও সংবিধানের প্রতি নূ্যনতম দায়বদ্ধতা থাকলে এই মর্মন্তুদ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ ও ব্যক্তিকে দায়বদ্ধতার আওতায় আনতেই হবে বলে মন্তব্য করেছে টিআইবি।

বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ডক্টর ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, 'একই মামলায় অন্য অভিযুক্তরা জামিন পেলেও ছয়বার আবেদন করা সত্ত্বেও মুশতাক আহমেদের জামিন না হওয়া- প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তার চেয়েও বড় বিষয় হচ্ছে, রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি রক্ষার নামে দিনের পর দিন জেলখানায় আটকে রাখা এবং রাষ্ট্রীয় হেফাজতে মৃতু্যকে সরকার আর ৮-১০টি ঘটনার মতোই বিবেচনা করছে। এক্ষেত্রে মৃতু্যর কারণ তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাতে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা ব্যক্তিবিশেষ দুরভিসন্ধিমূলকভাবে অপব্যবহার করছে কিনা- সে সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে, এমন আশা প্রায় অলীক। যদিও এমন মর্মান্তিক ঘটনার কার্যকর জবাবদিহি নিশ্চিতে এসব প্রশ্নের উত্তর জানা আজ জরুরি হয়ে পড়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও তার অপব্যবহারই যে মুশতাকের মৃতু্যর কারণ- এ কথা সরকার কীভাবে অস্বীকার করবে?'

গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের বরাতে বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২০ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৪৫৭ জনকে অভিযুক্ত করে ১৯৭টি মামলা হয়েছে। যেখানে ৪১টি মামলায় ৭৫ জন পেশাদার গণমাধ্যমকর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই আইনে করা মামলার অধিকাংশেরই বাদী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নয়তো ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী।

ডক্টর ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকারের সমালোচনা করা নাগরিকের অধিকার, তথা মতপ্রকাশের অধিকার কোনো সভ্য সমাজে অপরাধ বলে গণ্য হতে পারে না। একইসঙ্গে, রাষ্ট্র ও সরকার যে দুটি ভিন্ন সত্তা তাও একাকার করার কোনো সুযোগ নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে