বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মুশতাকের মৃতু্যর ঘটনা তদন্তে দুই কমিটি বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ অব্যাহত

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার লেখক মুশতাক আহমেদের মৃতু্যর প্রকৃত কারণ জানতে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে গাজীপুরের জেলা প্রশাসন। কমিটিকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মুশতাক আহমেদের মৃতু্যর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শনিবার পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এদিকে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, শাহবাগ ও বরিশাল-রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে বেশ

কয়েকটি ছাত্রসংগঠন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা দ্রম্নত সময়ের মধ্যে মুশতাক আহমেদের মৃতু্যর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান।

প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে শাহবাগ মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সংবিধানকে অবমাননা করেছে। তাই অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বাম ছাত্রনেতারা বলেন, সরকার এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে বাংলাদেশে ভিন্নমত দমনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিতর্কিত এই আইন বাতিলের দাবিতে আগামী এক মাস সারাদেশের সব প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা। এ ছাড়া ১ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভ ও ঘেরাও কর্মসূচি এবং ৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে বিক্সোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রসংগঠনগুলো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শাহবাগ থানার সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

অন্যদিকে মুশতাক আহমেদের মৃতু্যর প্রতিবাদে শাহবাগে মশাল মিছিলকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় আটক সাতজনের বিরুদ্ধে পুলিশ সদস্যদের

'হত্যাচেষ্টার' অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয়। এই মামলায় গ্রেপ্তার সাতজনের দুইদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। তবে আসামিদের জেলগেটে একদিন জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। শনিবার বিকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আলম মামুন ভুঁইয়া এই আদেশ দেন। আগামী তিনদিনের মধ্যে তাদের এই জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। সাত শিক্ষার্থী হলেন তামজীদ হায়দার, নজিব আমিন চৌধুরী জয়, এএসএম তানজিমুর রহমান, আকিব আহম্মেদ, আরাফাত সাদ, নাজিফা জান্নাত ও জয়তী চক্রবর্তী।

হত্যাপ্রচেষ্টা মামলা সম্পর্কে পুলিশের রমনা জোনের উপ-কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে টিএসসি থেকে মশাল মিছিল নিয়ে জাদুঘরের সামনে এলে আমরা তাদের ইউ টার্ন নিতে বলি। পরে তারা মশালের লাঠি দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। তখন পুলিশ আত্মরক্ষার্থে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তাদের একটি গ্রম্নপ বামপাশ দিয়ে চলে যায়, আরেকটি গ্রম্নপ পেছনে ফিরে পুলিশের ওপর অসংখ্য ইটপাটকেল ছুড়ে। এতে আমাদের ১২ থেকে ১৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আমার নিজের পায়েও আঘাত লেগে বিস্নডিং হয়েছে।

আহত বিক্ষোভকারীদের বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমরা জানি না; তারা কীভাবে আহত হয়েছেন। কিন্তু তারা যেভাবে ইটপাটকেল মেরেছেন, তাদের ইটপাটকেলেই তারা আহত হয়ে থাকতে পারেন। পুলিশ শুধু তাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে। তারা যখন ইটপাটকেল মারছেন, তখন পুলিশ চার থেকে পাঁচটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।'

এদিকে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃতু্যর তদন্ত ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে মশাল মিছিলের সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়া মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এই দিন ধার্য করেন।

এদিন গ্রেপ্তার সাতজনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় শাহবাগ থানায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। অপরদিকে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়া রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে একদিনের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। অপরদিকে তাদের জামিন শুনানির জন্য ৩ মার্চ দিন ধার্য করেন আদালত।

গাজীপুর জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবারে কারাগারের কক্ষে মুশতাক আহমেদ অচেতন হয়ে যাওয়ার পর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে তার এই মৃতু্য নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে সেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা হলেন গাজীপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী এবং সহকারী কমিশনার উম্মে হাবিবা ফারজানা। ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, তারা ইতোমধ্যে তদন্তকাজ শুরু করেছেন। সন্দেহভাজন সব দিক খতিয়ে দেখছেন। যত দ্রম্নত সম্ভব প্রতিবেদন প্রস্তুত করবেন। অন্যদিকে উম্মে হাবিবা ফারজানা জানিয়েছেন, প্রাসঙ্গিক সব বিষয় খতিয়ে দেখেই তারা দ্রম্নত সময়ের মধ্যে এই তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করবেন।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুরে মুশতাক আহমেদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলেও তার রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি। জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছিলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্টেই পরিষ্কার হবে, কী কারণে মুশতাক আহমেদের মৃতু্য হয়েছিল। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, মৃতু্যর কারণ যাই হোক; সেটা তদন্ত করা হবে, প্রয়োজনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তরুণ কান্তি শিকদারকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী চার কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম, কারা উপ-মহাপরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবির, গাজীপুর জেলা কারাগারের সহকারী সার্জন ডা. কামরুন নাহার। এ ছাড়া সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব আরিফ আহমদ কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের হাজতি মুশতাক আহমেদ (৫৩) সার্ডেন আনকনশাসনেস (হঠাৎ অচেতন হওয়া) জনিত কারণে ২৫ ফেব্রম্নয়ারি সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গভীর রাতে বন্দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

মুশতাক আহমেদের মৃতু্যতে কারা কর্তৃপক্ষের কোনো প্রকার গাফিলতি ছিল কিনা, যদি থাকে তবে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে তদন্ত কমিটিকে। এ ছাড়া এই বন্দি কারাগারে আসার পর তার কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ অবহিত ছিলেন কিনা, যদি থাকেন তবে সে বিষয়ে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কিনা, যদি না হয়ে থাকে তাহলে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই কমিটিকে।

এদিকে কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃতু্যর প্রতিবাদে শনিবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে নাগরিক ঐক্য। একই ইসু্যতে বরিশাল ও রংপুরেও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার সকালে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাক্‌স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার একটি কৌশল মাত্র। সরকার এই আইনের মাধ্যমে চিরতরে মুক্ত গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে দিতে চায়। অবিলম্বে এই আইন বাতিল করে মুশতাক হত্যাকারীদের বিচার করা না হলে বৃহৎ আন্দোলন করা হবে।

অন্যদিকে বাসদ বরিশাল শাখার ব্যানারে শনিবার বেলা ১১টায় নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা মুশতাক আহম্মেদের মৃতু্যর সুষ্ঠু তদন্ত এবং ডিজিটাল আইন বাতিলের দাবি জানান।

লেখক মুশতাকসহ সব গুম-খুন-হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে খাটিয়া মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে 'বাংলাদেশের জনগণ' ব্যানারে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।

খাটিয়া মিছিলটি রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এ সময় মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা 'আশহাদু আলস্না ইলাহা ইলস্নালস্নাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসুলুলস্নাহ' বলতে থাকেন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, আজ কোনোভাবে কথা বলা যাচ্ছে না। মুশতাক আহমেদকে জামিন দেওয়া হয়নি; তাহলে জনগণের স্বাধীনতা কোথায়?

এদিকে শাহবাগে শুক্রবার শিক্ষার্থীদের ওপর হওয়া হামলার বিচার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে' বিক্ষোভ করেছে গণসংহতি আন্দোলনের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।

শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ছাত্র ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি রোকেয়া হল ও রাজু ভাস্কর্যের সামনে দিয়ে শাহবাগের দিকে যায়। শাহবাগ থানার সামনে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মামুন অর রশীদের নেতৃত্বে পুলিশ ছাত্র ফেডারেশনের নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে মিনিট-দুয়েকের মধ্যে পুলিশ মিছিলটিকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে শাহবাগ মোড় ঘুরে থানার সামনে দিয়ে ফের টিএসসিতে আসেন ছাত্র ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা। সেখানে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে আগামী এক মাস সারাদেশে সব প্রগতিশীল সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করব। ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে আমরা বিক্ষোভ করব।'

কারাবন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃতু্য রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া।

লেখক মুশতাক আহমেদের মৃতু্যতে তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। শনিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে কারাবান্দি অবস্থায় তার মৃতু্যর দায় রাষ্ট্র বা অধীনস্থ সংস্থা এড়াতে পারে না উলেস্নখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'কমিশন মনে করে- অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো মৃতু্য সংবিধান ও মানবাধিকার পরিপন্থি। কারাবন্দি অবস্থায় মৃতু্যর দায় রাষ্ট্র বা তার অধীনস্থ কোনো সংস্থা কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে