বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
বিবিসিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

ডিজিটাল আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে!

যাযাদি ডেস্ক
  ০৩ মার্চ ২০২১, ০০:০০

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো অপরাধের অভিযোগ এলে তদন্তের আগে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বা তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া যাবে না-এমন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সোমবার বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

জামিন হওয়া না- হওয়ার প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, 'সাজা যতটা হলে জামিন হবে এবং যতটা হলে জামিন হবে না- ঠিক সেই প্রিন্সিপালটা ফলো করে আমরা বিধান করেছি। সারা পৃথিবীতেই এটা করা হয়। এমনকি এ উপমহাদেশেও। বিষয়টা নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। সব আইনই যখন করা হয়, তখন কিন্তু একটা ট্রায়াল অ্যান্ড এরর বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায়। কথা হচ্ছে, এখানে যদি কিছু অ্যাবিউজ এবং মিসইউজ হয়, সেটা কি করে বন্ধ করা হবে সে ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।'

বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সঙ্গেও আলোচনা করার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের অফিসের সঙ্গে আমি আলাপ চালাচ্ছি। সারা বিশ্বের সঙ্গে আমরা এটার

তুলনা করছি। মিসইউজ যেগুলো ধরা পড়ছে বা অ্যাবিউজ যেগুলো হচ্ছে, সেগুলোর জন্য একটা চেক অ্যান্ড ব্যালান্স সিস্টেম কিভাবে ডেভেলপ করা যায়, এ আইনের মধ্যেই কিভাবে সেটা থাকতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করছি।'

বর্তমান সরকার নানা বিতর্কের মধ্যেই ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে। আইনটি যখন খসড়া করা হয়, তখনই গণমাধ্যম এবং মানবাধিকারকর্মীরা আপত্তি তুলেছিলেন আইনের অপপ্রয়োগ নিয়ে। এই আইনে ৯ মাস ধরে আটক থাকা লেখক মুশতাকের মৃতু্যর পর অভিযোগ উঠেছে যে ছয়বার আবেদন করেও জামিন মেলেনি তার। বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, এই আইনের কারণে গণমাধ্যমের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে।

তবে সরকারি মহলে এ আইনের বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে পর্যালোচনা চলছে বলে জানা গেছে। আইনের যেসব ধারা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সেগুলোর বিষয়ে নতুন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায় কী না তা গভীরভাবে ভাবা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে