পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু

৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার

প্রকাশ | ০৩ মার্চ ২০২১, ০০:০০

আমানুর রহমান
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসগুলো সংস্কারের জন্য ৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এ টাকা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বণ্টন করবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই উপাচার্যদের ঢাকায় ডেকে বৈঠক করে এ বরাদ্দ বণ্টন করা হবে বলে ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে। ১৭ মে আবাসিক হল খুলে দেওয়ার আগেই সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। ইউজিসি সচিব ডক্টর ফেরদৌস জামান মঙ্গলবার বিকালে যায়যায়দিনকে বলেন, 'মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ বরাদ্দের চেক ইউজিসি'র হাতে পৌঁছেছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা এক অনুষ্ঠানে আবাসিক হল সংস্কারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অর্থ বরাদ্দের অনুরোধ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে তাতে সম্মতি জানিয়ে ইউজিসির মাধ্যমে চাহিদাপত্র দিতে বলেছিলেন। ইউজিসি উপাচার্যদের সঙ্গে আলাপ করে দেড়শ' কোটি টাকার চাহিদাপত্র দিলে, সরকারের পক্ষ থেকে ৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল রয়েছে তাদের মধ্যে এ বরাদ্দ বণ্টন করা হবে। ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, দেশের অর্ধশত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৬টিতে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে ৩২টিতে মোট ২২০টি আবাসিক হল রয়েছে। এ হলগুলোতে মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র দেড় লাখের জন্য আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রথমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ছাত্রদের দাবির মুখে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আগামী ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু এবং তার এক সপ্তাহ আগে ১৭ মে থেকে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেন। গত বছরের মার্চে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর ১৮ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, সঙ্গে সঙ্গে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকার ফলে আবাসিক হলের ব্যাপক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এক বছরের কিছু বেশি সময় এ হলগুলো অব্যবহৃত ও বন্ধ থাকায় অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে, যা সংস্কার না করা হলে বাসিন্দাদের এখানে বসবাস ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। তাই আবাসিক ছাত্রদের হলে ওঠার আগেই এগুলোকে সংস্কার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ সম্পন্ন করতে হবে। আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এ সংস্কার এবং এটি নিশ্চিত করতে সরকার আগাম বরাদ্দ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা বলেন, এ বরাদ্দের সঠিক ব্যবহার হচ্ছে কি না তা তদারকি করা হবে। জানা গেছে, আবাসিক প্রতিটি হলের প্রতিটি রুমে রং লাগানো এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে। বাথরুম ও ডাইনিংয়ের সেবার মান বাড়াতে নতুন বেসিন লাগানো ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা হবে। প্রতিটি হলের প্রবেশপথে জীবাণুনাশক ট্যানেল স্থাপন, স্যানিটাইজ করার উপকরণ কেনাসহ আনুষঙ্গিক কাজে বরাদ্দের এ অর্থ ব্যয় করা যাবে। \হ