মঙ্গলবার হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অভিযান চালিয়ে রকেট লঞ্চারের গোলা উদ্ধার করে বিজিবি -যাযাদি
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে আবারও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ উদ্যানে অভিযান চালিয়ে রকেট লঞ্চারের ১৮টি গোলা উদ্ধার করেছে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এর আগে ২০১৪ ২০১৮ ও ২০১৯ সালে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল।
বুধবার বেলা ১১টায় বিজিবি ৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সামিউন্নবী চৌধুরী প্রেস ব্রিফিংয়ে ১৮টি গোলা উদ্ধারের তথ্য জানিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা উদ্যানের ভেতরে নজর রাখছিলাম। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তির গতিবিধি লক্ষ্য করে অভিযান চালিয়ে গহিন অরণ্য থেকে লঞ্চারগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে শনাক্ত করা বা আটক করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের দেড় কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বনের ভেতরে মাটি খুঁড়ে রকেট লঞ্চারের গোলাগুলো রাখা হয়েছিল। অনেক পুরনো এ গোলাগুলো পস্নাস্টিকের কাভারের ভেতরে পলিথিনে মোড়ানো ছিল। এ ব্যাপারে মামলা হবে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর থেকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহিন অরণ্যে অভিযান চালায় বিজিবির সদস্যরা। রাতভর অভিযানের ফলে এগুলো উদ্ধার হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় সেক্টর কমান্ডার তুহিন মাসুদসহ বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উলেস্নখ্য, ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে তিন দফায় অভিযান চালিয়ে ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, একটি বেটাগান, ছয়টি এসএলআর, একটি অটোরাইফেল, পাঁচটি মেশিনগানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল
গোলাবারুদ উদ্ধার করের্ যাব।
এরপর ওই বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে চতুর্থ দফার প্রথম পর্যায়ে উদ্যানের গহিন অরণ্যে মাটি খুঁড়ে তিনটি মেশিনগান, চারটি ব্যারেল, আটটি ম্যাগাজিন, ২৫০ গুলির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আটটি বেল্ট ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়। পরে ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজির ৮ হাজার ৩৬০ রাউন্ড, ত্রি নট ত্রি রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়।
পঞ্চম দফায় ২০১৮ সালের ২ ফেব্রম্নয়ারি সাতছড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ ষষ্ঠ দফায় ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ১৩টি রকেট লঞ্চারের শেলসহ বেশকিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।
