মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে অনলাইনে ইয়াবার কারবারে যুবদলকর্মী

প্রকাশ | ০৭ মার্চ ২০২১, ০০:০০

ম যাযাদি ডেস্ক
একজন রাজনৈতিক মামলায় আরেকজন মাদক মামলায় ছিলেন কারাগারে। সেখানেই সখ্যতা। তারপর জামিনে বেরিয়ে দুজন মিলে গড়ে তোলেন অনলাইনে ইয়াবার কারবার। নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা থেকে শুক্রবার ইয়াবাসহ দুই যুবককে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. মাসুম (৪২) ও মো. হারুণ (৩২)। পুলিশ জানিয়েছে, মাসুম যুবদলের রাজনীতিতে জড়িত, আর হারুণ পেশাদার ইয়াবা ব্যবসায়ী। ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাসুম ও হারুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাসুমের পকেট থেকে ১৯টি ও হারুণের পকেট থেকে ৫০টি ইয়াবা জব্দ করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও ইয়াবা থাকার কথা স্বীকার করায় বন্দর থানার পোর্ট কলোনি ৬ নম্বর সড়কে হারুণের বাসায় তলস্নাশি চালিয়ে আরও ১২০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি। ওসি মহসিন বলেন, 'মাসুম জানিয়েছেন বন্দর থানা যুবদলের রাজনীতিতে তিনি সম্পৃক্ত। কিন্তু কমিটি না থাকায় কোনো পদে নেই। বিভিন্ন সময় তিনি রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। সেখানে পরিচয় হয় মাদক মামলার আসামি হারুনের সঙ্গে। কারাগারে সখ্য গড়ে ওঠার পর জামিনে বের হয়ে দুজন মিলে ইয়াবার কারবারে জড়িয়ে পড়েন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে তারা ইয়াবা বেচাকেনার জন্য অনলাইনকে বেছে নিয়েছেন। ইমো কিংবা যোগাযোগের অন্যান্য অ্যাপ ব্যবহার করে তারা ইয়াবাসেবীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। দরদাম ঠিক হলে ইয়াবা দেন।' ওসি আরও বলেন, 'জিজ্ঞাসাবাদে এবং মোবাইল ফোনের তথ্য নিয়ে জানা গেছে তারা একটি সংঘবদ্ধ ইয়াবা পাচারকারী দলের সদস্য। মূলত তারা অনলাইনে ইয়াবা বেচাকেনা করেন। মাসুমের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনেও এর প্রমাণ পাওয়া যায়। তাদের দলের কিছু সদস্য আনোয়ারা উপজেলায় আছেন। তাদের মাধ্যমে অনলাইনে যোগাযোগ করে তারা ইয়াবা সংগ্রহ করেন। আবার ক্রেতারাও অনলাইনে যোগাযোগ করে ইয়াবা কিনে নেন।' এ দলের অন্য সদস্যদের ধরতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান ওসি মহসিন।