শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রধানমন্ত্রীকে ১৫৩ এমপির চিঠি

ই-সিগারেট নিষিদ্ধ ও তামাক আইন সংশোধনের দাবি

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৯ মার্চ ২০২১, ০০:০০

দেশের ১৫৩ সংসদ সদস্য ই-সিগারেট আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত সুপারিশ জানিয়েছেন। এ সময় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের বিষয়টিও বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে উঠে আসে।

চিঠিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। এই লক্ষ্য অর্জনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন ও তামাকজাত পণ্যের ওপর যুগোপযোগী কর আরোপ করাও জরুরি। সেই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে ই-সিগারেট। ই-সিগারেট ব্যবহারে স্ট্রোকের ঝুঁকি ৭১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে হার্ট অ্যাটাক ও হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় যথাক্রমে ৫৯ ও ৪০ শতাংশ পর্যন্ত।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউসের কাছে সংসদ সদস্যদের স্বাক্ষরিত এ বিষয়ক চিঠি হস্তান্তর করেন 'বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিলস্নাত এমপি এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী

অধ্যাপক আ ফ ম রুহুল হক এমপি।

এ সময় আরও ছিলেন যেসব এমপি যথাক্রমে- জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি,; হাফিজ আহমেদ মজুমদার, অ্যাডভোকেট সৈয়দা রুবিনা আক্তার, শবনম জাহান, অপরাজিতা হক, শিউলী আজাদ।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিলস্নাত বলেন, 'ই-সিগারেটসহ প্রত্যেকটি তামাকজাত পণ্যই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে তরুণ সমাজকে ই-সিগারেটসহ তামাক ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এজন্য তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন এবং কর বৃদ্ধি করা জরুরি।'

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হকসহ সংসদ সদস্যরা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন এবং কর বৃদ্ধির ব্যাপারে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে ই-সিগারেট অতিদ্রম্নত নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।

আনুষ্ঠানিকভাবে এই চিঠি হস্তান্তরবিষয়ক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ক্ষতিকর তামাকের বিরুদ্ধে সংসদ সদস্যদের উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। আমরা এ ব্যাপারটি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি।'

এ সময় তিনি আইনগতভাবে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে