অনুদানের গুজব নিয়ে ফের সতর্কবার্তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের

শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুদানের বিষয়ে আবারও সতর্কতা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার দ্বিতীয় দফায় সতর্কতা বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলো। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীদের অনুদান প্রদানের সংশোধিত নীতিমালা-২০২০ অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্রছাত্রীদের অনলাইনে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। রোববার ছিল আবেদন গ্রহণের শেষ দিন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আবেদনের সময় ১৫ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। আবেদন যাচাই-বাছাই করে সীমিতসংখ্যক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অনুদান দেওয়া হবে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে, এ রকমের একটি গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা বাস্তবতা বিবর্জিত। এ ধরনের কোনো গুজবে কান না দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। এদিকে রোববার সকালে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা সরকারি অনুদান দেওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং ইউটিউবে এমন ভুয়া তথ্য প্রচার করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। আর তাদের এই গুজবে বিশ্বাস করে শনিবার দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ঢল নেমেছিল। ফটোকপি ও অনলাইন সার্ভিসের দোকানগুলোয়ও ছিল উপচে পড়া ভিড়। প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের প্রত্যয়নপত্র নিতে দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় ছুটে যায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এমনকি সারাদেশ থেকে আবেদনের জন্য রাজধানীসহ নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আসেন অবস্থান না করা শিক্ষার্থীরাও। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ অনুদানের আবেদন কারিগরি ক্রটিজনিত কারণে পূর্বনির্ধারিত ১০ ফেব্রম্নয়ারি থেকে আবেদন নেওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। জানা গেছে, এ কারণেই আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, প্রতি বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি নীতিমালার ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে। সচিব বলেন, অনুদান প্রদানের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বোর্ড পরীক্ষার ফল, আর্থিকভাবে অসচ্ছল, শারীরিক অক্ষমতাসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়। এবারও তাই হবে।