সিনহার অথর্ কেলেঙ্কারির ‘প্রমাণ পেয়েছে’ দুদক

প্রকাশ | ০৫ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার সময় সাংবাদিক পরিবেষ্টিত সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা Ñফাইল ছবি
ফারমাসর্ ব্যাংক থেকে সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ব্যাংক হিসাবে চার কোটি টাকা লেনদেনের ঘটনায় জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে দুনীির্ত দমন কমিশন। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বৃহস্পতিবার তার কাযার্লয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কারও নাম উল্লেখ না করে বলেন, ফারমাসর্ ব্যাংকের দুটি একাউন্ট থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে। ফারমাসর্ ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা নামে দুই কথিত ব্যবসায়ী অবৈধভাবে চার কোটি টাকা ঋণ পেয়েছিলেন। সেই টাকা অন্য আরেক ব্যবসায়ী হয়ে এস কে সিনহার বাড়ি বিক্রি বাবদ তার ব্যাংক হিসাবে ঢুকেছে বলে অভিযোগ পাওয়ার পর তার তদন্তে নামে দুদক। দুদক প্রথম থেকে ‘গুরুত্বপূণর্ ব্যক্তি’র আড়ালে বিচারপতি সিনহার নাম উহ্য রাখলেও দুদকে জিজ্ঞাসাবাদের পর কথিত দুই ব্যবসায়ীর আইনজীবী বিচারপতি সিনহার সঙ্গে লেনদেনের কথাই বলেন। ক্ষমতাসীনদের রোষের মুখে এক বছর আগে বিদেশে গিয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেয়া বিচারপতি সিনহার লেখা বই সম্প্রতি প্রকাশ হওয়ার পর তাকে নিয়ে নতুন করে আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই তাকে দুদকের তদন্তের বিষয়টিও আলোচনায় আসে। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘ফারমাসর্ ব্যাংকের দুটি একাউন্ট থেকে চার কোটি টাকা ঋণের ব্যাপারে আমরা তদন্ত করেছি। তদন্ত শেষ হয়ে গেছে। অনেকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বা চিহ্নিত করা হয়েছে। ‘ঋণ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে। আমরা সেগুলো বিচার বিশ্লেষণ করছি।’ তদন্তে পাওয়া বিষয়বস্তু তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দুটি একাউন্ট থেকে ঋণ প্রক্রিয়া এবং এই টাকা মানিলন্ডারিং বা বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া, নগদ উত্তোলন এসব বিষয়ে অনেক কিছু এসেছে।’ ঋণ অনিয়মের সঙ্গে সাবেক প্রধান বিচারপতি জড়িত কি না- এ প্রশ্নে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘গুরুত্বপূণর্ ব্যক্তি থাকুক, আর যেই থাকুক। যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বা যাবে, তাদের বিরুদ্ধেই আমরা ব্যবস্থা নেব।’ আগের মতো এদিনও বিচারপতি সিনহার নাম উল্লেখ করেননি সাবেক আমলা ইকবাল মাহমুদ। আগেও তিনি নাম নিয়ে চাপাচাপি করে তাকে বিব্রত না করতে সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ করেছিলেন। দুদকের পরবতীর্ পদক্ষেপ সম্পকের্ জানতে চাইলে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘যা হয়, তাই হবে। যদি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে আইন অনুযায়ী মামলা করা হবে।’