ঢাকার আকাশে বৃহস্পতিবার যাদের চোখ পড়েছে তারা ধেঁায়াশা বা মেঘলা আকাশ দেখেছেন। উঁচু ভবনের ওপর থেকে কুয়াশাচ্ছন্ন দেখা গেছে ঢাকার অট্টালিকা-পরিবেশ। এতে তাপমাত্রাও কমেছে খানিকটা।
এই প্রকৃতিকে কেউ কেউ কুয়াশা আবার কেউ মেঘ বলে রায় দিচ্ছে। আকাশে রোদ উঠলেও বিকাল পযর্ন্ত কাটেনি সেই ধেঁায়াশা ভাব।
এই অবস্থার মধ্যে কিছুটা ভ্যাপসা গরম থাকলেও আগের দিনের তুলনায় ঢাকায় অন্তত এক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ নিঝুম রোকেয়া আহমেদ বলেন, বষার্কাল শেষ। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিদায় নেবে। আকাশে যে ধেঁায়াশা এলে এগুলো কুয়াশা নয়, বজ্র মেঘ। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় অনেকটা নিচে নেমে এসেছে সেই মেঘ। এই মেঘ থেকে বজ্রপাতও হতে পারে। তবে বৃষ্টি হলে মেঘ কেটে যাবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ঢাকায় সবোর্চ্চ ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকডর্ করেছে আবহাওয়া অফিস। আগের দিন ঢাকায় ৩৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকডর্ করা হয়। তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাওয়ায় অনেকটা স্বস্তি এসেছে।
নিঝুম রোকেয়া বলেন, আবহাওয়ার যে অবস্থা তা এক-দুদিন থাকবে। আর বৃষ্টি হলেও বিচ্ছিন্নভাবে হবে। বেশি স্থায়ী হবে না। তবে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমবে।
গত কয়েক দিন ভ্যাপসা গরমে
অস্বস্তিতে পড়ে নগরবাসী। বাতাসে আদ্রর্তা বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরম বলে জানান আবহাওয়াবিদ রোকেয়া। সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রর্তা ছিল ৯১ শতাংশ। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবতির্ত থাকতে পারে। ২৪ ঘণ্টায় যশোরে সবোর্চ্চ ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং পঞ্চপড়ের তেঁতুলিয়ায় ২৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকডর্ করা হয়েছে। দেশের উত্তরের জেলাগুলোয় তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার পূবার্ভাসে জানাচ্ছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুবর্ল অবস্থায় বিরাজমান রয়েছে। রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক এলাকায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে সকাল ৯টা পযর্ন্ত টাঙ্গাইলে ১২ মিলিমিটার, নিকলিতে সবোর্চ্চ ৪১ মিলিমিটার, ময়মনসিংহে ২৯ মিলিমিটার, নেত্রকোনায় ৬ মিলিমিটার, স›দ্বীপ, সীতাকুÐ এবং বগুড়ায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।
