দুই সপ্তাহের পূর্ণ 'লকডাউনের' সুপারিশ পরামর্শক কমিটির

প্রকাশ | ১০ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকায় কঠোর লকডাউন দিতে হবে। সরকারি বিধিনিষেধ আরও শক্তভাবে অনুসরণে পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। 'করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি'র ৩০তম সভায় বিশেষজ্ঞরা এ অভিমত জানিয়েছেন। শুক্রবার কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুলস্না স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভার্চুয়াল সভায় কমিটির সদস্যদের সবার উপস্থিতিতে বিস্তারিত আলোচনা শেষে কিছু সুপারিশ গৃহীত হয়। সেগুলো হলো- সারাদেশে উদ্বেগজনক হারে সংক্রমণ ও মৃতু্যর হার বাড়ছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত ১৮টি নির্দেশনা জারি করা হয়। পরবর্তীতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেও ১১ দফা বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। এগুলো সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। ফলে সংক্রমণের হার বাড়ছে। বিধিনিষেধ আরও শক্তভাবে অনুসরণ করা দরকার। বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন ছাড়া করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকায় পূর্ণ লকডাউন দিতে হবে। দুই সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগে সংক্রমণের হার বিবেচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা, আইসিইউ সুবিধা, অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচেষ্ট। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) হাসপাতাল আগামী সপ্তাহের মধ্যে চালু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সরকারি পর্যায়ের এ কার্যক্রমের সঙ্গে পালস্না দিয়ে হাসপাতালের রোগী ভর্তির বাড়তি চাপ থাকায় অতি দ্রম্নত আরও সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। সংক্রমণের হার বাড়ার কারণে নমুনা পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে রোগীর ভিড় বাড়ছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পেতেও সময় লাগছে। যারা নমুনা পরীক্ষা করাতে আসছেন, তাদের বড় অংশ বিদেশগামী যাত্রী। বিদেশে অভিবাসী কর্মজীবী মানুষ ছাড়া অন্য যাত্রীদের বেসরকারি পরীক্ষাগারে পাঠাতে পারলে সরকারি ল্যাবরেটরিতে চাপ কিছুটা কমবে। তাদের বেসরকারি পরীক্ষাগারে পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন। এতে করে রোগীদের পরীক্ষা ও রিপোর্ট দ্রম্নত প্রদান করে আইসোলেশন নিশ্চিত করা যাবে। যা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম যুক্তরাজ্যে ফলপ্রসূ হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশেও টিকা কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মধ্যে বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন আমদানি করে টিকাদানের সুপারিশ পুনরায় করা হলো।