মামুনুলের রিসোর্টকান্ড 'ব্যক্তিগত' : বাবুনগরী

প্রকাশ | ১২ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক নারীকে নিয়ে অবস্থান করার পর ঘেরাওয়ের শিকার হওয়া এবং এর পরবর্তী নানা ঘটনার মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টি 'হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ব্যক্তিগত বিষয়' বলে উলেস্নখ করেছেন সংগঠনটি কেন্দ্রীয় আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। রোববার চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরি বৈঠকের পর জুনায়েদ বাবুনগরী কথা বলেন। তিনি বলেন, 'আজকের (গতকাল) বৈঠকে কাউকে বহিষ্কার বা অব্যাহতির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।' বৈঠক থেকে হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করা হয়েছে। এছাড়া আগামী ২৯ হোটহাজারী মাদ্রাসায় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। থানায় জিডি : এদিকে হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের কথিত 'দ্বিতীয় স্ত্রী' জান্নাত আরা ঝর্ণার খোঁজ পাচ্ছেন না জানিয়ে শনিবার রাতে পল্টন থানায় তার বড় ছেলে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। পল্টন থানায় দায়ের করা জিডিতে জান্নাতের ছেলে বলেছেন, 'গত ৩ এপ্রিল থেকে মায়ের খোঁজ পাচ্ছেন না তিনি। তিনি নিজের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কিত। জিডির ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন পল্টন থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক।' হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুলকে গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে জান্নাত আরাসহ অবরুদ্ধ করে স্থানীয় একদল। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারাও সেখানে গিয়েছিলেন। পরে হেফাজতের কর্মীরা গিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। মামুনুল দাবি করছেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে তা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। সোশাল মিডিয়ায় মামুনুল ও জান্নাত আরার কথোপকথনের নানা অডিও ঘুরছে। যে নারীর ছেলে জিডি করেছেন, ওই নারীই সেদিন সোনারগাঁওয়ে মামুনুলের সঙ্গে ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। নানা আলোচনার মধ্যে মামুনুল সম্প্রতি লাইভে এসে বলেন, তালাকপ্রাপ্ত ওই নারীকে বিয়ে করেছেন তিনি। জিডির সূত্র ধরে ওসি আবু বকর বলেন, ওই নারীর ছেলে বলছেন, তার মা গত ৩ এপ্রিল ধানমন্ডির নর্থ সার্কুলার রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় পর থেকে তার খোঁজ আর পাচ্ছেন না তিনি। পরে মায়ের কক্ষে তিনটি ডায়েরি পাওয়ার কথা জানিয়ে এই তরুণ বলেছেন, সেগুলো নিয়ে বের হওয়ার পর কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তি তাকে অনুসরণ করছে বলে তিনি বুঝতে পারেন। তাতে তিনি নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত বোধ করছেন। ওসি বলেন, 'ডায়েরিগুলো রেখে তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। বিষয়টির তদন্ত চলছে।'