শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

৮৩ মৃতু্যর নতুন রেকর্ডের দিনে শনাক্ত ৭২০১

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৩ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

করোনার সংক্রমণ ও মৃতু্যর ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ডসংখ্যক ৮৩ জনের মৃতু্য হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃতু্য হয়েছে ৯ হাজার ৮২২ জনের। গত তিন দিনে মৃতু্য হয়েছে ৭৭, ৭৮ এবং ৮৩ জনের। এ নিয়ে টানা তিন দিন মৃতু্যর একের পর এক রেকর্ড হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ২০১ জন। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৪ হাজার ৯৬৮ জনের। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৫৯ শতাংশ। যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এ পর্যন্ত (মার্চ '২০ থেকে ১১ এপ্রিল '২১) দেশে মোট ৬ লাখ ৯১ হাজার ৯৫৭ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৯ হাজার ৮২২ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৮১ হাজার ১১৩ জন।

আগের দিন রোববার করোনায় ৭৮ জনের মৃতু্য হয়েছিল। তার আগের দিন শনিবার মারা গেছে ৭৩ জন। আর রোববার ৫ হাজার ৮১৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সোমবার শনাক্ত হলো ৭ হাজার ২০১ জনের। শনাক্তের সংখ্যাও গত কয়েকদিনের মধ্যে সর্বোচ্চ।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের কথা জানায় সরকার। করোনায় প্রথম মৃতু্যর হয় ১৬ মার্চ। ১৭ মার্চ থেকে প্রথম লকডাউন দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে শনাক্তের হার কমতে শুরু করে।

গত জুন থেকে আগস্ট এই তিন

\হমাস করোনার সংক্রমণ ছিল তীব্র। মাঝে নভেম্বর-ডিসেম্বরে কিছুটা বাড়লেও বাকি সময় সংক্রমণ নিম্নমুখী ছিল। এ বছর মার্চে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে এবার সংক্রমণ তীব্র ও ভয়াবহ হয়ে দেখা দিয়েছে। মাঝে কয়েক মাস ধরে শনাক্তের চেয়ে সুস্থ বেশি হওয়ায় দেশে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে আসছিল। কিন্তু গত মার্চ থেকে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও আবার বাড়তে শুরু করেছে।

কোনো দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা কিছু নির্দেশক থেকে বোঝা যায়। তার একটি হলো রোগী শনাক্তের হার। টানা দুই সপ্তাহের বেশি রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। এ বছর ফেব্রম্নয়ারির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে ছিল। দুই মাস পর গত ১০ মার্চ দৈনিক শনাক্ত আবার হাজার ছাড়ায়। এরপর দৈনিক শনাক্ত বাড়ছেই।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ মার্চ বেশ কিছু বিধিনিষেধসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। এর মধ্যে ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকলেও জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনো উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে