বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে বাজারমুখী মানুষের ঢল

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৪ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

লকডাউন ও রমজানকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বাজারে জিনিসপত্রের দাম তেমন একটা না বাড়লেও গত চারমাস ধরে খুচরা ও পাইকারি বাজারে চাল, ডাল ভোজ্যতেল, ছোলা ও চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। সবশেষ ১১ এপ্রিল প্রতি কেজি সাধারণ মানের খেজুরের দাম বাড়ানো হয়েছে ২০-৩০ টাকা। প্রতি কেজি চিনি ১০, মুগডাল ১০ ও দেশি পেঁয়াজ ১০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস দুই মাসের ব্যবধানে ২০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫ টাকা বেড়েছে। গুঁড়োদুধ কোম্পানি ভেদে কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ৯ টাকা বেশি দরে বিক্রি হয়েছে। কঠোর লকডাউনের মধ্যে সামনে রমজানে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে এমন আশঙ্কা এবং লকডাউনের ঝামেলা এড়াতে গতকাল নগরীতে বাজারমুখী মানুষের ঢল নেমেছে।

রাজধানীর সিপাহীবাগ নোয়াখালী স্টোরে বেশ ভিড়ের মধ্যে বাজার করছেন মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, সরকার 'কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে। শুরু হচ্ছে রমজান। পরিস্থিতি কী হবে- এমন ভেবে মাসের বাজার একসঙ্গে করে নিলেন তিনি। মহিউদ্দিনের মতো অধিকাংশ মানুষই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য ভিড় করেছেন পাড়া-মহলস্নার মুদির দোকানেও।

কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা আসগর বলেন, 'কাল (বুধবার) থেকে লকডাউন। গাড়ি চলবে না, মালপত্র ঠিকমতো পাওয়া যায় কিনা ঠিক নেই। এজন্য অন্য দিনের চেয়ে বাড়তি মাল কিনেছি। যাতে অন্তত এক সপ্তাহ বেচা যায়।'

এদিকে রমজানকে কেন্দ্র করে বেগুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। লম্বা বেগুন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং গোল বেগুন বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। খুচরায় ৫ টাকা বেড়েছে টমেটোর দামও। ভালো টমেটার কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকায়। আর কাঁচা মরিচের কেজি ৪৫ থেকে ৬০ টাকা। শসার কেজি ৩৮ থেকে ৪৫। খুচরা বাজারে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে করলা বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। উচ্ছেরও একই দাম। এ ছাড়া ঢেঁড়শ ৩৮ থেকে ৪০, শিম ৪০ থেকে ৪৫, বরবটি ৫৫ থেকে ৬০, ছিচিঙ্গা ৩২ থেকে ৩৫, পেঁপে ৩০ থেকে ৩৫, পটোল ৪০ থেকে ৪৫, ছিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা ও ধুন্দল ৪৫ থেকে ৫০, মুলা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, আলু খুচরায় ২০ থেকে ২২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

আগে থেকেই চড়া চালের বাজারে নতুন করে দাম বাড়েনি। এর মধ্যে কেজিপ্রতি মোটা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, ২৮ চাল ৫৫-৫৬ টাকা, মাঝারি মানের মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, ভালো মিনিকেট ৬৪ থেকে ৬৫ টাকায় এবং ভালো নাজির ৬৬-৬৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

মুদিপণ্যের মধ্যে আগের সপ্তাহে বেড়েছিল রসুন ও আদার দাম। ছোলা খুচরাবাজারে ৫ টাকা বেড়েছে। প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। ডালের মধ্যে আমদানি করা মাঝারি আকারের মসুর ডাল ৮০ থেকে ৯০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ৫ টাকা কমে ১০৫ থেকে ১১৫ টাকা, মুগডাল ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশি রসুনের কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, দেশি আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, আমদানি করা আদা ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, প্যাকেট আটার কেজি ৩২ থেকে ৩৫ টাকা, চিনি ৬৮ থেকে ৭০ টাকা, কোম্পানি ও মান ভেদে লবণ ২৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মসলার মধ্যে জিরা ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, মান ভেদে ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেড়ে ছোট এলাচ ২৪০০ থেকে ৩৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে