প্রশ্ন তুললেন নেতৃত্ব নিয়ে

হেফাজতের পদ ছাড়লেন আব্দুলস্নাহ হাসান

প্রকাশ | ১৪ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে বিক্ষোভের নামে যা হয়েছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমিরের পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন মাওলানা আব্দুলস্নাহ হাসান। বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা আব্দুলস্নাহ মোহাম্মদ হাসান মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী উদযাপনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে আগে ও পরের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এমন পরিস্থিতিতে হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আলস্নামা শাহ আহমদ শফীর মতো মহান নেতৃত্বের শূন্যতা অনুভব করছি।' শফীর মৃতু্যর পর হেফাজতে ইসলামে সংকট তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে ফরায়েজী আন্দোলনের সভাপতি বলেন, 'হেফাজতে ইসলামে যোগ্য নেতৃত্বের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। গ্রম্নপিং, দলাদলি সৃষ্টি হয়েছে। নিজেদের অঙ্গনে ভিন দল ও ভিন মতাদর্শের মানুষ অনুপ্রবেশ করেছে এবং তারাই তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে হেফাজতে ইসলামকে অত্যন্ত সুকৌশলে মাঠে নামানোর চেষ্টা করছে। এরই অংশ হিসেবে হেফাজতে ইসলামকে তারা অনেকটাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়েছে এবং ওই বিতর্কিত বহিরাগত সংগঠনের মানুষই হেফাজতে ইসলামের নেতাদের অধিকাংশের মতামত উপেক্ষা করে হরতালের মতো জনভোগান্তিকর কর্মসূচি পালনে বাধ্য করেছে। মাওলানা আব্দুলস্নাহ মোহাম্মদ হাসান নিজের পদত্যাগের ঘোষণায় বলেন, হেফাজতে ইসলাম এখন কিছু ব্যক্তির 'নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নের একটি পস্ন্যাটফর্ম' হয়ে দাঁড়িয়েছে। 'বিষয়গুলো বিবেচনা করে আমি হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির পদ থেকে ইস্তফা প্রদান করলাম। আমার ইস্তফা প্রদানে কে বেজার হলো, কে খুশি হলো- এটা আমার দেখার বিষয় নয়, আমি আলস্নাহকে সাক্ষী রেখে বলছি, আমার হেফাজতে ইসলাম থেকে ইস্তফা প্রদান ইসলাম, দেশ ও জাতির অধিকতর কল্যাণের লক্ষ্যে।' আব্দুলস্নাহ মোহাম্মদ হাসান বলেন, এখন থেকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কোনো ধরনের কর্মকান্ডের দায়ভার তিনি বা তার দল বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলন নেবে না। বিগত কয়েকদিন অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ২০ জন নিহত ও অসংখ্য আহত হওয়ায় আমি গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছি। বাংলাদেশ সরকারসহ সর্বস্তরের জনগণকে ওই নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর এবং আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানাচ্ছি। কওমি মাদ্রাসাগুলো খুলে দেওয়ার পাশাপাশি 'নিরীহ আলেম ওলামাদের' হয়রানি না করার আহ্বান জানান ফরায়েজী আন্দোলনের সভাপতি। সংগঠনের সহ-সভাপতি আব্দুল বাতেন, মবিন উদ্দিন আহম্মদ, নওশী মিয়া, আব্দুল বাতেন নোমান, আবুল কাশেম চাকলাদার, মহাসচিব আ. রহমান খান ফরায়েজী, যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলামসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।