আগের চেয়ে দ্রম্নত মারা যাচ্ছেন করোনা আক্রান্তরা আইইডিসিআর'র প্রতিবেদন

প্রকাশ | ১৯ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তরা আগের চেয়ে দ্রম্নত মারা যাচ্ছেন। আক্রান্ত এবং মৃতু্যর হারও গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি তীব্র হয়ে বেড়ে গেছে। এদিকে মানসিক স্বাস্থ্যেও করোনা মহামারির ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে। আইইডিসিআর জানিয়েছে, 'কোভিড-১৯ রোগী খুব দ্রম্নত মৃতু্যবরণ করছেন।' হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে মারা গেছেন ৪৮ শতাংশ এবং পাঁচ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মৃতু্য হয়েছে ১৬ শতাংশ রোগীর। শনিবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছরের মার্চে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৩৮ জন। এপ্রিলের ১৫ তারিখ পর্যন্ত মৃতু্য হয়েছে ৯৪১ জনের। সে অনুযায়ী দুই সপ্তাহেই মৃতু্যর হার এক লাফে ৪৭ দশমিক পাঁচ শতাংশ বেড়েছে। এ বছর এপ্রিলে আগের বছরের সর্বোচ্চ মৃতু্য হারের চেয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি মৃতু্য হয়েছে। গত বছরের ফেব্রম্নয়ারি-এপ্রিল মাসের সঙ্গে এ বছরের একই সময়ের তুলনা করে দেখা গেছে, গত বছরের ফেব্রম্নয়ারিতে কেউ মারা যায়নি, মার্চে পাঁচজন আর এপ্রিলে ১৬৩ জন মারা গেছেন। আর চলতি বছরের এই তিনটি মাসে মারা গেছেন যথাক্রমে ২৮১, ৬৩৮ এবং ৯৪১ জন। ২৮ জানুয়ারি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে আইইডিসিআর বলছে, এ সময় আক্রান্তদের ৪৪ শতাংশই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ৩৩ শতাংশ রোগী প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে, ১৭ শতাংশ বাড়িতে এবং ছয় শতাংশ অন্যান্য উপায়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, যারা মারা গেছেন, তাদের ৫২ শতাংশই উপসর্গ শুরুর পাঁচ দিনের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ২৬ শতাংশ পাঁচ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এবং ১২ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তি হন উপসর্গ শুরুর ১১ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে। বেড়েছে মানসিক সমস্যা করোনাভাইরাস মহামারিতে সংক্রমণের আতঙ্ক, চিকিৎসা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা, মৃতু্যভয়, অর্থনৈতিক বিপর্যয়, বেকারত্বের কারণে মানসিক সমস্যা বেড়েছে বলেও জানিয়েছে আইইডিসিআর। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের জরিপের ফলাফল তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মানসিক রোগের হার ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে ছয় দশমিক সাত শতাংশের মধ্যে বিষণ্নতা এবং চার দশমিক সাত শতাংশ মানুষে ভুগেছেন দুশ্চিন্তায়। আইইডিসিআর বলছে, কোভিড মহামারির সময় বাংলাদেশে পরিচালিত কয়েকটি গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় ৪৬ শতাংশের মধ্যে বিষণ্নতা, ৩৩ শতাংশের মধ্যে দুশ্চিন্তার লক্ষণ পাওয়া গেছে।