বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
সাপ্তাহিক বাজার দর

চিনি-দুধ ও পেঁয়াজের দাবেড়েছে, সবজিতে স্বস্তি

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৭ মে ২০২১, ০০:০০

রাজধানীতে সপ্তাহ ব্যবধানে চিনি, দুধ এবং পেঁয়াজের দাবেড়েছে। কেজিতে পেঁয়াজের দাবেড়েছে পাঁচ টাকা, চিনির প্যাকেট কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি ৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগেও আধা লিটার তরল দুধ ছিল ৩৫ টাকা, গতকাল সেই দুধ বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। এক লিটার দুধ ছিল ৭০ টাকা, সেই দুধ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি।

পেঁয়াজের দাবাড়ার বিষয়ে লক্ষ্ণীবাজারের নাজমুল হোসেন যায়যায়দিনকে বলেন, লকডাউনের কারণে যারা গ্রামের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন, তাদের অনেকে আবার ঢাকায় ফিরেছেন। কারণে পেঁয়াজের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। এর ফলে দাবেড়েছে।

তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু সবজির দাকমেছে। রোজার শুরুতে ১২০ টাকায় উঠে যাওয়া বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এই সবজিটির দাঅপরিবর্তিত রয়েছে। তবে রোজার শুরুতে অস্বাভাবিক দাবেড়ে যাওয়া শসার দাসপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে। মানভেদে শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা এবং রোজার শুরুতে ছিল ৮০ টাকা।

দাকমার তালিকায় রয়েছে- পটল, বরবটি, ঢেড়স ও ঝিঙে। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা। গত শুক্রবার ৬০-৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটির দাক৪ে০-৫০ টাকা হয়েছে। ঢেঁড়সের কেজিও

বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা।

গত সপ্তাহের মতো ৬০-৮০ টাকা বিক্রি হওয়া ঝিঙের দাক৪ে০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে লাউ প্রতিটি আগের সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা।

বেশিরভাগ সবজির দাকমার মধ্যে শজিনার ডাটার দাবেড়েছে। গত সপ্তাহে ৭০-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শজিনার ডাটার দাবেড়ে ৮০-৯০ টাকায় ওঠেছে। পাকা টমেটো আগের সপ্তাহের মতো ২৫-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে নতুন আসা কাঁকরোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। কাঁকরোলের মতো চড়া দািেবক্রি হচ্ছে কচুর লতি। এক কেজি কচুর লতি কিনতে গুণতে হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আবুল হোসেন যায়যায়দিনকে বলেন, তাদের ধারণা ছিল, সবজির দাআরও বাড়বে। কিন্তু সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। সবজির দাবাড়ার বদলে কেেগছে। সামনে কিছু সবজির দাআরও কমবে। তবে ঈদের পর সবজির দাবাড়তে পারে।

এদিকে গত সপ্তাহে দাকমা ব্রয়লার ও পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগির দাঅপরিবর্তিত রয়েছে। গত শুক্রবারের মতো ব্রয়লার ১৪০-১৪৫ টাকা কেজি দািেবক্রি হচ্ছে। পাকিস্তানি কক ২৩০-২৭০ টাকা কেজি। চালের দাঅপরিবর্তিত রয়েছে। মিনিকেট গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৬ টাকা, ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকা। দেশি আদা ও রসুন ৮০ টাকা এবং রসুন চায়না ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুগ ডাল ১২০ টাকা, মটর ডাল ১০০ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা আর খেসারি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মাছের দাকিছুটা বেড়েছে। প্রতি কেজি রুই মাছের দা(আকারভেদে) ১৮০-৩৫০ টাকা, মাগুর মাছ ৪০০ টাকা, প্রতি কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৪০০ টাকায়, মৃগেল ১১০- ১৪০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০-১৫০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে হাজার টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫০০-৬০০ টাকা, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৩৫০-৫০০ টাকা, কাতল ১৭০-৩০০ টাকা, ফোলি মাছ ৩০০-৪০০ টাকা, পাবদা মাছ ২০০-২৫০ টাকা, টেংরা মাছ ১৮০-২৫০ টাকা, টাটকিনি মাছ ১২০-১৪০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০-১৪০ টাকা, সিলভার কার্প ১২০-১৪০ টাকা, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৪০০ টাকায়, রূপ চাঁদা মাছ কেজি ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে দুধ-দইয়ের দা: বাজারে দইয়ের দাবেড়েছে। বাড়ার কারণ হলো দুধের দাবেড়ে যাওয়া। আর দুধের দাবাড়ার কারণ উৎপাদন ও প্যাকেজিংয়ের খরচ বেড়ে যাওয়া।

রাজধানীর মিরপুরে মীনা বাজারে ক্রেতা হামিদুর রহমান জানান, রোজার মাসে অনেক খাবারেই টক দই ব্যবহার করা হয়। সেই সুযোগে ব্যবসায়ীরাও দাবাড়িয়েছেন। কোনো নিয়নেই, যখন যার ইচ্ছা ভোগ্যপণ্যের দাবাড়িয়ে দিচ্ছে।

তবে মিল্ক ভিটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক অমর চান বলেন, দইয়ের দাবেড়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছে, গরুর দুধের দাবেড়েছে। তরল দুধ সংগ্রহ ও উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ছাড়া সময় দুধের চাহিদা বেশি থাকে। সে জন্য চাহিদার কারণেও দুধের দাকিছুটা বেড়েছে।

প্রাণের জেনারেল ম্যানেজার ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান তৌহিদ জামান বলেন, দুধ উৎপাদনে খরচ বেড়েছে প্রতি লিটারে দুই-তিন টাকা। অন্যদিকে প্যাকেজিং খরচও বেড়েছে। জন্য দুধের দাবাড়ানো হয়েছে।

ই-ক্যাবের সভাপতি গোলারহমান বলেন, কোম্পানিগুলো তাদের খেয়াল-খুশি মতো ব্যবসা পরিচালনা করছে। এতে ভোক্তাদের সমস্যা হচ্ছে। পণ্যের দাকমা-বাড়া নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট ও কঠোর আইন না থাকার কারণে রকসুযোগ নিচ্ছে কোম্পানিগুলো। সরকারের পক্ষ থেকেও কঠোর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। ভোক্তাদের উচিত, ধরনের পণ্য বর্জন করা। তাহলে কোম্পানিগুলো দাকমিয়ে দেবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে