শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
বিশ্বের করোনা চিত্র

আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ১৫ কোটি মৃতু্য সাড়ে ৩২ লাখ

যাযাদি ডেস্ক
  ০৭ মে ২০২১, ০০:০০

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। গত বছর বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে পর্যন্ত রোগে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষ, আর মারা গেছে ৩২ লাখ ৫৮ হাজার ৩৩৯ জন। বিশ্বজুড়ে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৯৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫৬৫। সংবাদসূত্র :এএফপি

আক্রান্ত সক্রিয় করোনা রোগীদের মধ্যে মৃদু উপসর্গ রয়েছে এক কোটি ৯২ লাখ ৩৬ হাজার ২৬৪ জনের, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন এক লাখ ১০ হাজার ৩০১ জন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনায় দৈনিক আক্রান্ত, মৃতু্য ও সেরে ওঠা রোগীদের সংখ্যা বিষয়ক হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট 'ওয়ার্ল্ডোমিটার' জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনয় আক্রান্ত হয়েছে আট লাখ ৩৪ হাজার ৬৬৫ জন, মারা গেছে ১৪ হাজার ১৭০ জন। করোনা মহামারি শুরুর

\হপর থেকে পর্যন্ত মারাত্মক সংক্রামক এই রোগটিতে আক্রান্ত ও মৃতু্যর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে তিন দেশ- যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও ব্রাজিল।

যুক্তরাষ্ট্রে পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তিন কোটি ৩৩ লাখ ২১ হাজার ২৪৪ জন, মারা গেছে পাঁচ লাখ ৯৩ হাজার ১৪৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৪৬ হাজার ১২৯ জন, আর মারা গেছে ৭৪৩ জন।

গত এক বছরের বেশি সময়ে ভারতে রোগে আক্রান্ত হয়েছে মোট দুই কোটি ১০ লাখ ৭০ হাজার ৮৫২ জন, মারা গেছে দুই লাখ ৩০ হাজার ১৫১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে রোগে আক্রান্ত হয়েছে চার লাখ ১২ হাজার ৬১৮ জনের বেশি, মারা গেছে তিন হাজার ৩৮২ জন।

দক্ষিণ আমেরিকা ও বিশ্বের অন্যতবৃহৎ দেশ ব্রাজিলে পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে এক কোটি ৪৯ লাখ ৩৬ হাজার ৪৬৪ জনে। মারা গেছে মোট চার লাখ ১৪ হাজার ৬৪৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৭৫ হাজার ৬৫২ জন, মারা গেছেন দুই হাজার ৭৯১ জন।

অবশ্য প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটির সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও নেহাত কনয়। মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠেছে ১৩ কোটি ৩২ লাখ ১২ হাজারের বেশি।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথশনাক্ত হয় প্রাণঘাতী সার্স-কোভ-২ ভাইরাস, যা বিশ্বে সাধারণভাবে পরিচিতি পায় 'করোনাভাইরাস' নামে। শনাক্ত হওয়ার তিন মাসের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাসটি।

যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ যদিও অভিযোগ করে আসছে, চীনের গবেষণাগারে এই ভাইরাসটি কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে চীন বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, প্রাকৃতিকভাবেই আবির্ভাব ঘটেছে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটির।

গত বছর ফেব্রম্নয়ারি মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিস্নউএইচও) করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে। ২০২০ সালের প্রথসাত-আট মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক আক্রান্ত ও মৃতু্যর পর ওই বছরের শেষ দিকে কিছুটা কএেসেছিল করোনা সংক্রমণ। এর মধ্যে বিভিন্ন কোম্পানির করোনাপ্রতিরোধী টিকা বাজারে এসে যাওয়ায় গণ-টিকাদান কর্মসূচিও শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।

তবে গত মার্চ থেকে বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ফের ব্যাপকভাবে বাড়তে শুরু করেছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতু্যর হার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ পার করছে দক্ষিণ এশিয়া।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে