তলোয়ার নিয়ে জাতীয় সংসদ ভবনে হামলার পরিকল্পনা মামলায় দুজন রিমান্ডে

প্রকাশ | ০৭ মে ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আল আমিন এবং আলী হাসান ওসামা
\হ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য আল আমিন এবং 'উগ্রবাদী' বক্তা আলী হাসান ওসামার বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদ ভবনে তলোয়ার নিয়ে হামলার পরিকল্পনা মামলায় পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিআদালতে হাজির করে পুলিশ। সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিদেবদাস চন্দ্র অধিকারী তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে, ঢাকা ও রাজবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হ আনসার আল ইসলামের শীর্ষ ওই দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ বলছে, বুধবার রাতে সাকিবকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর বৃহস্পতিবার ভোররাতে রাজবাড়ী থেকে ওসামাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের দাবি, ওসামার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সাকিব বুধবার রাতে রাতে জাতীয় সংসদ ভবনে হামলা চালাতে গিয়েছিলেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাবৃহস্পতিবার বলেন, বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে সংসদ ভবনের দক্ষিণ পস্নাজা থেকে সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। সময় তার কপাল ও বাঁ হাতে কালো পতাকা ছিল। ডান হাতে ছিল তলোয়ার। পরে ভোররাতে রাজবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনসার আল ইসলামের শীর্ষ নেতা ওসামাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কাউন্টার টেররিজবিভাগের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাবলেন, আনসার আল ইসলামের তাত্ত্বিক নেতা মুফতি জসিউদ্দিন রহমানি গ্রেপ্তার হওয়ার পর ওসামা সংগঠনের হয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। কয়েক দিন আগে তিনি একটি ফেসবুক পেজ খোলেন। এই ফেসবুক পেজে জাতীয় সংসদ ভবনে হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। সাইফুল ইসলাবলেন, ওসামার আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতীয় সংসদ ভবনে ৩১৩ জঙ্গি হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গতকাল রাতে সবার জাতীয় সংসদ ভবনে হামলা চালানোর কথা ছিল। সেই লক্ষ্যে সাকিবও হামলা চালাতে সংসদ ভবনে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি কাউকে পাননি। সাকিব একটি বেসরকারি কলেজে স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে পড়েন বলে জানান কাউন্টার টেররিজবিভাগের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। জাতীয় সংসদ ভবনে কালো পতাকা ও তলোয়ার হাতে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করার অভিযোগে আল আমিনের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়।