বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় ২৪ ঘণ্টায় মৃতু্য ৩৮, আক্রান্ত ১৫১৪ জন

যাযাদি রিপোর্ট
  ১১ মে ২০২১, ০০:০০

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩৮ জনের মৃতু্য হয়েছে। এ সময় নতুন করে ১ হাজার ৫১৪ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ২ হাজার ১১৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ১২ হাজার ২৭৭ জন।

সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বুলেটিন থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তদের নিয়ে

দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ ৭৫ হাজার ২৭ জন হয়েছে। আর করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার ৯৭২ জন।

এতে বলা হয়েছে, শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত অ্যান্টিজেন ও আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে ১৬ হাজার ৮৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫১৪ জন। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার ৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা মানদন্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বুঝতে পারার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।

জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, করোনার ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে দেওয়া লকডাউনের প্রভাবে সংক্রমণ নিম্নমুখী হয়েছে। তবে এখন লকডাউন শিথিল হয়েছে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা না গেলে যেকোনো সময় পরিস্থিতি আবার খারাপ আকার ধারণ করতে পারে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃতু্যর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান এই মহামারিকালে গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে চলতি বছরের ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত মাস দুয়েক পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল।

গত ফেব্রম্নয়ারির মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। মার্চ থেকে শুরু হয় সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। মার্চের শেষ দিকে এসে দেশে নতুন রোগী বাড়তে শুরু করে লাফিয়ে লাফিয়ে। সঙ্গে বাড়তে থাকে মৃতু্য। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। চলতি বছর ১ মে মৃতু্য সাড়ে ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃতু্যর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংক্রমণ ঠেকাতে গত ৫ এপ্রিল থেকে বিধিনিষেধ ঘোষণা করে সরকার। যদিও তা ছিল ঢিলেঢালা। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে আরও কঠোরতা আরোপ করা হয়। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে আবারও সংক্রমণে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। এখনো সে প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। তবে তা বিপদসীমার ওপরেই অবস্থান করছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে