বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

৪১% পরিশোধিত পানিতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া

প্রকাশ | ১২ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৮, ১০:১৭

যাযাদি রিপোটর্

পানি ও স্যানিটেশনের সুযোগে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করলেও সব ধরনের পরিশোধিত পানির ৪১ শতাংশের মধ্যে ক্ষতিকর জীবাণু ‘ই. কোলাই’ রয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংস্থাটির প্রকাশ করা ’প্রমিজিং প্রগ্রেস: এ ডায়াগনস্টিক অব ওয়াটার সাপ্লাই, স্যানিটেশন, হাইজিন অ্যান্ড প্রভাটির্ ইন বাংলাদেশ’ শীষর্ক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনের চুম্বক অংশ তুলে ধরে বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অথর্নীতিবিদ জজর্ জোসেপ বলেন, পানি ও স্যানিটেশনের সুযোগে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করলেও পানির সব ধরনের উন্নত উৎসের ৪১ শতাংশে ক্ষতিকর জীবাণু ‘ই. কোলাই’ রয়েছে। এতে অন্ত্রে উচ্চমাত্রার দূষণের প্রমাণ মেলে। ‘বাংলাদেশে ১৩ শতাংশ পানির উৎস আসেির্নক দূষণের জাতীয় মাত্রার উপরে রয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেটে আসেির্নক দূষণের পরিমাণ বেশি।’ তিনি জানান, শহরের ৫২ শতাংশ ও গ্রামের মাত্র ২৭ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পাইপলাইনে পানির ব্যবস্থা আছে। সেখানে স্বল্পতা আছে সাবান ও স্যানিটেশনের সুযোগের। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গৃহস্থালিতে স্যানিটেশনের ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও বিভিন্ন কমের্ক্ষত্রে এখনো সেই সুবিধা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। ‘বাংলাদেশের মাত্র ৫২ শতাংশ ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানায় টয়লেট রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে মাত্র অধেের্কর মতো স্কুলে। আর ১০০ শিক্ষাথীর্র বিপরীতে টয়লেট আছে একটি, যা জাতীয় গড়ের অধের্ক।’ স্কুলের ভালো স্যানিটেশন ব্যবস্থা না থাকায় মাসিক ঋতুস্রাবের সময়ে ২৫ শতাংশ ছাত্রী অনুপস্থিত থাকে বলে জানান এ বিশ্বব্যাংক কমর্কতার্। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো সমস্যা যখন আছে, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি, নাকি তা নিয়ে বসে আছি, সেটা গুরুত্বপূণর্। সে কারণে আমরা সব সমস্যাকে তুলে ধরে সেটার আলোকে পদক্ষেপ নিচ্ছি।’ বাংলাদেশের সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন উপক‚লীয় অনেক এলাকা লবণাক্ত পানির কারণে নানারকম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী। বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর সেরিন জুমা বলেন, ‘বৈশ্বিক উদ্যোগের অংশহিসাবে তৈরি করা হয়েছে এই প্রতিবেদন। পানির দূষণ ও নিম্নমান এবং স্যানিটেশনের বাজে অবস্থা অনেক অজর্নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।’ তিনি বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি হিসাব দিয়েছিল, বৈশ্বিকভাবে পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিতে যদি ১ ডলার খরচ করা হয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় ওটার বিপরীতে লাভ আসবে ৫ ডলার। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদের, বিশ্বব্যাংকের প্র্যাকটিস ম্যানেজার তাকুয়া কামাতা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।