করোনাভাইরাস

দেশে মৃতু্য ছাড়াল ১৩ হাজার

প্রকাশ | ১২ জুন ২০২১, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৩ জনের মৃতু্য হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩০ ও নারী ১৩ জন। মৃত ৪৩ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৬, বেসরকারি হাসপাতালে ৬ এবং বাসায় ১ এক জন মারা যান। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ১৩ হাজার ৩২ জনে দাঁড়াল। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৫১০টি ল্যাবরেটরিতে ১৮ হাজার ৭৭৭টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৮ হাজার ৫৩৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৭৩টি। এ সময়ে নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হন ২ হাজার ৪৫৪ জন। আর মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ২২ হাজার ৮৪৯ জন। যার মধ্যে সুস্থ হয়েছেন, ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯১৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৮৬ জন। শুক্রবার (১১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়ে বলা হয়, নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮, চট্টগ্রামে ১০, রাজশাহীতে ১১, খুলনায় ৭, বরিশালে ২, রংপুরে ৪ এবং ময়মনসিংহে ১ জন মারা গেছেন। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২৪ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১১, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৪, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২ এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের ২ জন রয়েছেন। গত বছর ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে। এ বছরের ৩১ মে তা ৮ লাখ পেরিয়ে যায়। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃতু্যর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃতু্যর তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মানদন্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। এদিকে করোনা সংক্রমণ ও মৃতু্য বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা এখনো বহাল। এই বিধিনিষেধে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এরই মধ্যে প্রতিবেশী দেশ ভারত সীমান্তবর্তী ১৫টি জেলায় রোগী দ্রম্নত বাড়ছে। জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, এখনই সতর্ক হয়ে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পরিস্থিতি আবার খারাপের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।