মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সুষম পরিকল্পনা করতে হবে আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৫ জুন ২০২১, ০০:০০

করোনা পরিস্থিতিতে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ফিরিয়ে আনা যথেষ্ট কঠিন হবে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি যায়যায়দিনকে বলেন, নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ না করা ছাড়া 'ড্রপ আউট' ঠেকানো যাবে না। এজন্য করোনা মহামারির চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার সঙ্গে প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাপকভাবে বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে আর্থিক কারণে যাতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে দূরে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সরকারকে এজন্য সর্বোচ্চ সাহায্য- সহযোগিতার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি এসব পরিবারকেও প্রণোদনা দিতে হবে।

শুধু দেশ নয়,

পরিবারের জন্যও যে সন্তানদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলা জরুরি অভিভাবকদের এ ব্যাপারে সচেতন করে তুলতে হবে। এ জন্য বহুমাত্রিক 'ইন্টারভেনশন' জরুরি।

করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার পেছনে আর্থিক কারণের পাশাপাশি সামাজিক কারণও রয়েছে দাবি করে শিক্ষাবিদ আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, দেশে মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার পেছনে বড় ফ্যাক্টর হলো বাল্যবিয়ে ও তাদের চলাফেরায় নিরাপত্তাহীনতা। এজন্য সুষম পরিকল্পনা করতে হবে অর্থাৎ কোন এলাকায় কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তা-ই করতে হবে। বিশেষ করে বাল্যবিয়ে বন্ধ করার জন্য আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। এর ক্ষতিকর দিকগুলো সমাজে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া শিশুদের একটা বড় অংশ অভিভাবকহীন পথশিশু। এ ধরনের শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য সরকারকে বিশেষায়িত প্রকল্প গ্রহণ করতে আরও উদ্যোগী হতে হবে। তবে তার আগে কোন উন্নয়ন মডেলটি কার্যকর হবে তা নির্ধারণ করার জন্য কোনো স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে গবেষণা করাতে হবে। যেসব গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাকর্ম সম্পন্ন করেছে তাদের সহায়তা গ্রহণ করতে হবে। ঝরে পড়া শিশুদের মধ্যে একটি অংশ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু। তাদের শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ার ঝুঁকি বেশি। তাদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া জরুরি বলে মত দেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে