বড় খেসারত দিতে হবে আনু মুহাম্মদ

প্রকাশ | ১৫ জুন ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ঝরে পড়া রোধে সরকারের আগেও যেমন কোনো উদ্যোগ ছিল না, এখনো তেমন কোনো উদ্যোগ নেই-এমনটা দাবি করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি যায়যায়দিনকে বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজেটে এ খাতে যেমন বরাদ্দ ছিল না, তেমনি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটেও কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। এমনকি এ নিয়ে সরকারের তেমন কোনো পরিকল্পনা আছে, তা-ও দৃশ্যমান নয়। বিশিষ্ট এ অর্থনীতিবিদ বলেন, সরকার শিক্ষা খাতকে যেভাবে গুরুত্বহীনভাবে দেখছে, তাতে আগামীতে এর বড় খেসারত দিতে হবে। তার আশঙ্কা, দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে ধনী-গরিবের \হবৈষম্য আগে থেকে থাকলেও করোনা পরিস্থিতিতে তা আরও প্রকট রূপ নেবে। আনু মুহাম্মদ বলেন, করোনাকালীন অনলাইন লেখাপড়ার ওপর সরকার জোর দিলেও নাজুক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত কত সংখ্যক পরিবার তাদের সন্তানদের হাতে স্মার্ট ফোন তুলে দিতে পেরেছে; কতজন তাদের সন্তানদের নিয়মিত ডাটা কিনে দিয়েছে তার হিসাব রাখার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়নি। ফলে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী এ শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে থেকে গেছে। যাদের একটি বড় অংশ ঝরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ফিরিয়ে আনতে সর্বপ্রথম তাদের তথ্য সংগ্রহ করার তাগিদ দিয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলে এলোমেলো পদক্ষেপ নিয়ে কোনো লাভ হবে না। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া জরুরি। পাশাপাশি সারাদেশে কিন্ডারগার্টেনসহ বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল-কলেজের যে বিপুলসংখ্যক শিক্ষক বেকার হয়ে গেছে, তাদের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা জরুরি। এত বিপুলসংখ্যক শিক্ষককে শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে রেখে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সচল করা সম্ভব হবে না।