হোম ভিজিট করতে পারেন শিক্ষকরা তৌহিদুল হক

প্রকাশ | ১৫ জুন ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে শিক্ষকদের সম্পৃক্ত করা জরুরি বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপারাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক। তিনি যায়যায়দিনকে বলেন, শিক্ষকরা নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। বিশেষ করে যেসব শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে প্রয়োজনে শিক্ষকরা তাদের 'হোম ভিজিট' করবেন। তাদের বাড়িতে পড়াশোনার পরিবেশ আছে কি না কিংবা কী কারণে তারা লেখাপড়া থেকে সরে যাচ্ছে সে ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করতে পারেন। করোনাকালে অনলাইন \হক্লাসে যেসব শিক্ষার্থী অনুপস্থিতি রয়েছে, তারা কি শুধু ডিভাইস না থাকার কারণে পড়াশোনা থেকে সরে রয়েছে, নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে তা খুঁজে দেখতে হবে। পাশাপাশি এ সংকট সমাধানে উদ্যোগী হতে হবে। অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে যেসব শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে প্রয়োজনে তাদের আর্থিক সক্ষমতা তৈরি করে দিতে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির দায়িত্ব রয়েছে বলে দাবি করে শিক্ষা গবেষক তৌহিদুল হক বলেন, স্কুল পরিচালনা কমিটি রাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে নানা ধরনের সহায়তা গ্রহণ করতে পারেন, যা ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের মাঝে বণ্টন করা হলে এ সংকট অনেকাংশে দূর হবে। এ ব্যাপারে সামাজিক উদ্যোগও নেওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, সরকারের একার পক্ষে এ সংকট মোকাবিলা করা অত্যন্ত কঠিন। তাই সবাইকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। একজন ব্যক্তি তার প্রতিবেশী শিক্ষার্থীর লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সৃষ্ট সমস্যাগুলো সমাধানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে ঝরে পড়া অনেকাংশেই কমে যাবে। শুধু করোনাকালে নয়, স্বাভাবিক সময়ও সরকার ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের কথা ততটা গুরুত্বের সঙ্গে ভাবেন না এমন অভিযোগ তুলে তৌহিদুল হক বলেন, ঝরে পড়া রোধে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষাকার্যক্রম থাকলেও তা অনেকটাই নামকাওয়াস্তে।