নওগাঁয় দেড় মাস বাক্সবন্দি আইসিইউ শয্যা

প্রকাশ | ১৯ জুন ২০২১, ০০:০০

রুহুল আমিন, নওগাঁ
নওগাঁয় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতু্যর সংখ্যা। জেলার কোনো হাসপাতালেই নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) না থাকায় তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসা রোগীদের পাঠাতে হয় পাশের রাজশাহী অথবা বগুড়া জেলায়। নওগাঁয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) ও পিপিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করে আসছে। এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) তত্ত্বাবধানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) জন্য দুটি শয্যাসহ কিছু সরঞ্জাম নওগাঁ হাসপাতালে এসেছে। যা গত দেড় মাস থেকে বাক্সবন্দি অবস্থায় পড়ে আছে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) জন্য দুটি শয্যা ও তিনটি ন্যাজাল ক্যানোলা এসেছে। যা গত দেড় মাস থেকে সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের নিচের তলায় বাক্সবন্দি অবস্থায় রয়েছে। কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) তত্ত্বাবধানে স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ইউনিট দুটি স্থাপনের কথা। পূর্ণাঙ্গ আইসিইউ চালু করতে ১৪টি সরঞ্জাম প্রয়োজন। সেখানে এসেছে ৩টি সরঞ্জাম। পূর্ণাঙ্গ সরঞ্জাম না থাকায় ইউনিট দুটি আজও স্থাপন করা হয়নি। এদিকে, হাসপাতালের নতুন ভবনের নিচের তলায় করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে। যেখানে ৩০টি বেড আছে। এরমধ্যে করোনা ইউনিটের ফ্লু বিভাগে রয়েছে অর্ধেক বেড। যেখানে শ্বাসকষ্ট সমস্যা রোগীদের ইলেকট্রিক অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়। গত ২৯ এপ্রিল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপস্নাই সিস্টেম চালু করা হয়েছে। তীব্র শ্বাসকষ্টের রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না। আইসিইউ ব্যবস্থা না থাকায় এসব রোগীকে নওগাঁ সদর হাসপাতাল থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অথবা ৪৫ কিলোমিটার দূরের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নওগাঁ সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ বলেন, ১০ শয্যা আইসিইউ'র চাহিদা পাঠানো হলে এর বিপরীতে দুই শয্যা আইসিইউ বরাদ্দ আসে এবং তিনটি ক্যানোলা পাওয়া গেছে। পূর্ণাঙ্গ আইসিইউ চালু করতে সিএমএসডি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। আইসিইউ সংস্থাপন করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের। তবে কবে নাগাদ আইসিইউ সংস্থাপন করা হবে তা বলা যাচ্ছে না।