এবার ১৪ দিনের শাটডাউনের সুপারিশ পরামর্শক কমিটির

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশে করোনাভাইরাসের বিশেষ প্রজাতি 'ডেল্টার' সামাজিক সংক্রমণ চিহ্নিত হওয়া এবং ইতোমধ্যেই প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় করোনা পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি এবার ১৪ দিনের শাটডাউনের সুপারিশ করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুলস্নাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় বুধবার রাতে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশে কোভিড-১৯ রোগের সাম্প্রতিক ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ বিষয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও আলোচনা হয়। এ সময় কমিটির সদস্যরা বলেন, করোনাভাইরাসের বিশেষ ডেল্টা প্রজাতির সামাজিক সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে ও দেশে ইতোমধ্যেই রোগের প্রকোপ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রজাতির জীবাণুর সংক্রমণ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে সারা দেশেই উচ্চ সংক্রমণ, পঞ্চাশোর্ধ্ব জেলায় অতি উচ্চ সংক্রমণ লক্ষ্য করা যায়। রোগ প্রতিরোধের জন্য খন্ড খন্ড ভাবে গৃহীত কর্মসূচির উপযোগিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। অন্যান্য দেশ, বিশেষত পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভিজ্ঞতা কঠোর ব্যবস্থা ছাড়া এর বিস্তারিত প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞের সঙ্গেও আলোচনা করা হয়েছে। তাদের মতামত অনুযায়ী যেসব স্থানে পূর্ণ শাটডউন প্রয়োগ করা হয়েছে, সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ও জনগণের জীবনের ক্ষতি প্রতিরোধ করার জন্য কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সারা দেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ শাটডাউন দেওয়ার সুপারিশ করছে। এ সময় জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে আমাদের যত প্রস্তুতিই থাকুক না কেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়বে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ টিকা সংগ্রহের জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছেন। এই জন্য তাকে ধন্যবাদ দেওয়া ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। তবে এই রোগ থেকে পূর্ণ মুক্তির জন্য ৮০ শতাংশের ঊর্ধ্বে মানুষকে টিকা দেওয়া প্রয়োজন। বিদেশ থেকে টিকা সংগ্রহ, লাইসেন্সের মাধ্যমে দেশে টিকা উৎপাদন করা ও নিজস্ব টিকা তৈরির জন্য সরকারি ও বেসরকরি উদ্যোগে গবেষণা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টার প্রতি কমিটি পূর্ণ সমর্থন জানায়।