চট্টগ্রামে বাসচাপায় যুবক হত্যার মামলায় চালক গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বিতÐার জেরে চট্টগ্রাম নগরীর সিটি গেট এলাকায় এক যুবককে বাস থেকে ফেলে পিষ্ট করার ঘটনায় ওই বাসের চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তার মোহাম্মদ দিদার ওরফে দিদারুল আলম (৪২) স›দ্বীপ উপজেলার ৭ নম্বর ওয়াডের্র কুচিয়ামোরা গ্রামের মোহাম্মদ ইয়াসিনের ছেলে। মাস দেড়েক আগে চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে কুমিল্লার বালুতোবা এলাকার একটি হোটেলে চাকরি নিয়েছিল গ্রেপ্তার বাস চালক মোহাম্মদ দিদার ওরফে দিদারুল আলম (৪২)। মঙ্গলবার তাকে কুমিল্লার বালুতোবা এলাকার একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে মামলার তদন্তকারী কমর্কতার্ পিবিআই পরিদশর্ক সন্তোষ কুমার চাকমা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মাস দেড়েক আগে চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে কুমিল্লায় যায়। সেখানে পরিচয় গোপন করে নতুন খোলা একটি হোটেলে চাকরি নেয়। ২৭ আগস্ট নগরীর সিটি গেট সংলগ্ন কালীরহাট এলাকায় ৪ নম্বর রুটের লুসাই পরিবহনের একটি বাস থেকে ফেলে দেয়া হয় রেজাউল করিম রনি (৩৫) নামের স্থানীয় বাসিন্দা ওই যুবককে। বাস থেকে ফেলে দেয়ার পর ওই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যান রনি। রনির মৃত্যুর ঘটনায় একদিন পর তার মামা আবদুর রহমান বাদী হয়ে নগরীর আকবর শাহ থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে পিবিআই’র ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদারের নিদেের্শ মামলার তদন্তভার নেয় সংস্থাটি। এ ঘটনায় বাসচালকের সহকারী মানিক সরকারকে ল²ীপুর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। ৪ নম্বর রুটের লুসাই পরিবহনের চট্ট-মেট্রো জ ১১-১৮০৩ নম্বরের গাড়িটিও আটক করেছে পুলিশ। পিবিআই কমর্কতার্ সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দিদারুল জানিয়েছে- সেদিন হাতে ব্যথা থাকায় সে বাস চালাচ্ছিল না। বদলি চালক সাদেকুল ইসলাম গাড়িটি চালাচ্ছিল। নিহত রেজাউল করিম রনি ওই বাসের যাত্রী ছিলেন না। তিনি ছিলেন কাজী পরিবহনের অন্য একটি বাসের যাত্রী। দুই বাসের মধ্যে সড়কে সাইড দেয়া নিয়ে সমস্যা হয়। দিদারুলের বরাত দিয়ে সন্তোষ বলেন, এরপর রেজাউল করিম রনি মাঝপথে লুসাই পরিবহনের বাসটিতে ওঠেন। তখন চালক সাদেকুলের সাথে রনির বিতÐা হয়। এক পযাের্য় সহকারী মানিক সরকার এবং দিদারুল মিলে ধাক্কা দিয়ে তাকে গাড়ি থেকে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিদারুলকে পঁাচ দিনের রিমান্ডে চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই পিবিআই কমর্কতার্। নিহত রনির ২২ মাস বয়সী এক কন্যা সন্তান আছে। ২০১১ সালে দুবাই থেকে দেশে ফেরেন রনি। দেশে তিনি মামার ব্যবসা দেখাশোনা করতেন।