এবার জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে চঁাদা দাবির মামলা

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার পর এবার গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে চঁাদা দাবির মামলা হয়েছে। জমি বিক্রিতে বাধ্য করার চেষ্টা ও এক কোটি টাকা চঁাদা দাবির অভিযোগে আশুলিয়া থানায় এ মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে মানিকগঞ্জের মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছাড়াও গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের নিবার্হী পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশির, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন ও আওলাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদীর অভিযোগ, ২০০৩ সালে পাথালিয়া মৌজার প্রায় চার একর ২৪ শতাংশ জমি তিনিসহ আরও দুজন কিনেছিলেন। ওই জমি কেনার জন্য জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও তার লোকজন তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। নামমাত্র মূল্যে জমি বিক্রির জন্য তিনি ও তার শরিকদের চাপ দেয়ার পাশাপাশি জীবননাশের হুমকি দেয়া হচ্ছিল বলেও অভিযোগ করা হয়। বাদীর আরও অভিযোগ, গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র তাদের জমি থেকে জোর করে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাটি কেটে নিয়ে গেছে। এ ধরনের অত্যাচারে তিনি একপযাের্য় অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং বাইপাস সাজাির্র করতে হয়। এসব ঘটনায় সাভার ও আশুলিয়া থানায় একাধিক জিডি করা হয়েছিল বলে জানান মোহাম্মদ আলী। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সবের্শষ গত ১৪ অক্টোবর মোহাম্মদ আলী ও তার শরিক আনিসুর রহমান জমিতে থাকাবস্থায় জাফরুল্লাহর সহযোগী দেলোয়ার হোসেন (৫৭), সাইফুল ইসলাম শিশির (৫৫) ও আওলাদ হোসেনসহ (৪৮) ৩-৪ জন জমিতে ঢুকে জানান, তারা জাফরুল্লাহর নিদেের্শ এসেছেন। পরে ওই জমি তাদের কাছে বিক্রির জন্য চাপ দেয়া হয়। জমি বিক্রি না করলে এক কোটি টাকা চঁাদা দাবি করেন তারা। চঁাদা দিতে অস্বীকার করায় তারা হুমকি দেন এবং জমির কঁাটাতারের বেষ্টনী, সাইনবোডর্ ও একটি গেট ভাঙচুর করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার ওসি রিজাউল হক দীপু জানান, গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে, মামলা নম্বর ৪১। এ ব্যাপারে তদন্ত করে পরবতীর্ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি। প্রসঙ্গত একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশো অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে জিডি হয়। গত বৃহস্পতিবার সেনাসদরের পক্ষ থেকে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় ওই জিডি করা হয়। এ জিডিটি রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে এটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে গ্রহণ করে তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশকে স্থানান্তর করা হয়।