ভোটের আগে গ্যাসের দাম বাড়ছে না

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
তোড়জোড় চললেও নিবার্চনের আগে শিল্প খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পদক্ষেপ থেকে সরে এসেছে সরকার। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন ডেকে বাংলাদেশ এনাজির্ রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম বলেছেন, তারা এখন গ্যাসের দাম বাড়াবেন না। আগামী ডিসেম্বরে একাদশ সংসদ নিবার্চনের প্রস্তুতি চলছে। তার আগে গ্যাসের দাম বাড়ানোর মতো সিদ্ধান্ত নিলে ভোটে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে তার বিরোধিতা করছিলেন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যরা। এলএনজি আমদানির প্রেক্ষাপটে আবাসিক ও বাণিজ্যিক সংযোগ বাদে অন্য ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বাড়ানোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ থেকে ২৫ জুন শুনানি করে বিইআরসি। শুনানির প্রায় চার মাস পর দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এলো। তবে উচ্চমূল্যে এলএনজি আমদানি করায় গ্যাসের দাম সমন্বয় না করার কারণে সরকারের চলতি অথর্বছরে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ভতুির্ক গুনতে হবে বলে কমিশন হিসাব দেখিয়েছে। গ্যাসের দাম না বাড়ানোর কারণ দেখিয়ে মনোয়ার ইসলাম বলেন, ‘গ্যাসের উৎপাদন, এলএনজি আমদানি, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়া সত্তে¡ও সাবির্ক বিষয় বিবেচনা করে ভোক্তা পযাের্য় বিদ্যমান মূল্যহার পরিবতর্ন না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, দাম বাড়ানোর জন্য বিতরণ কোম্পানিগুলো ও পেট্রোবাংলার আবেদনে এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। বতর্মানে ৩০০ মিলিয়নের মতো হচ্ছে। এ ছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোডর্ হতে গত তিন অক্টোবর পৃথক দুটি এসআরওর মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন পযাের্য় সম্পূরক শুল্ক এবং আমদানি পযাের্য় অগ্রিম কর ও অগ্রিম মূসক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিতরণ কোম্পানিগুলোর জামানত কমিয়ে কোম্পানিগুলোর উপাদন খরচ কমিয়ে দেয়ার কারণে এখনই গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন মনে করছেন না বিইআরসি চেয়ারম্যান। বিইআরসির সদস্য আবদুল আজিজ খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘চলতি অথর্বছরের শেষের দিকে ১০০ মেগাওয়াট এলএনজি আমদানি হতে পারে। তখন বিতরণ কোম্পানিগুলো প্রয়োজন মনে করলে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিলে আমরা বিবেচনা করব।’ বতর্মানে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের গড় মূল্য সাত টাকা ৩৯ পয়সা। এটা ১ টাকা ৪৬ পয়সা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে মনে করেন কমিশন চেয়ারম্যান।