হোয়াইট ওয়াশ করার লক্ষ্যে মাঠে নামবে বাংলাদেশ

প্রকাশ | ২০ জুলাই ২০২১, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
জিম্বাবুয়ে সফরে অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ। উড়তে থাকা টাইগার ক্রিকেট দল এক ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ও এক ম্যাচ হাত রেখে ওয়ানডে সিরিজও জিতে নিয়েছে দাপটের সঙ্গে। ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচও জিতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইট ওয়াশ করার সুযোগ টাইগারদের সামনে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১-৩০ মিনিটে জিম্বাবুয়ের হারারে ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শুরু হবে ম্যাচটি। টি স্পোর্টস ও গাজী টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার হবে ম্যাচগুলো। বাংলাদেশের জন্য আশাব্যঞ্জক খবর এই যে, শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নামতে পারেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথম দুটি ওয়ানডেতে ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি। শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নেমে টি২০ সিরিজের প্রস্তুতি নেবেন এই পেসার। আরেকটি খবর হচ্ছে, বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য ও অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদ এদিন নিজ ক্যারিয়ারের ২০০তম ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামবেন। এই মাইলফলকের ম্যাচে মাহমুদউলস্নাহ কী কোনো বিশেষ উপহার দেবেন? সিরিজের একমাত্র টেস্ট ম্যাচে ব্যাটে-বলে দু্যতি ছড়িয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। সেই ধারাবাহিকতা ছিল ওয়ানডে সিরিজের দুই ম্যাচেই। হারারেতে যে জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটা এক ম্যাচ বাকি থাকতেই নিজেদের করে নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ১২ বছর আগে, ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের মাটিতে ৪-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে মুজারাবানি-লুক জংউইদের বোলিং দাপটে যখন কোণঠাসা বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ, ঠিক তখন দায়িত্বশীল একটি ইনিংস খেলেন দলীয় ওপেনার লিটন দাস। শেষদিকে আফিফের দ্রম্নত ৪৫ রানের ইনিংসটিও বড় সংগ্রহ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এদিকে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন সাকিব-তাসকিন-সাইফউদ্দিনরাও। অবশ্য, সাকিব একাই কাবু করে ফেলেন জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানদের। মাত্র ৩০ রান খরচায় পেয়েছেন ৫টি উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচের শেষ ওভারে লাগে মাত্র ৩ রান। আর স্ট্রাইকে গিয়ে মুজারাবানিকে থার্ডম্যান এরিয়া দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দারুণ ম্যাচে জয়টাও নিজের ব্যাটের স্পর্শে রাখেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৪ ম্যাচ পর ব্যাটে রান পেলেন টাইগার অলরাউন্ডার। দলের কঠিন বিপদের মুখে ১০৯ বলে ৮ বাউন্ডারিতে খেলেন ৯৬ রানের ইনিংস। তৃতীয় ম্যাচে দাপুটে বোলিংয়ের মাধ্যমে স্বাগতিকদের চেপে ধরার সক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশি পেসারদের। আর সাকিবের ঘূর্ণি তো থাকছেই। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে বরাবরই শক্তিশালী। ব্যাট হাতে ব্রেন্ডন টেলর, রেগিস চাকাভা এবং ওয়েসলি ম্যাধভেরেরা যেকোনো সময়ই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার যোগ্যতা রাখেন। আর বোলিংয়ে তাদের তো বেস্নসিং মুজারাবানি এবং টেন্ডাই চাতারারা আছেনই। তাই হোয়াইট ওয়াশ করতে দলীয় পারফরম্যান্সের কোনো বিকল্প নেই। দুই দলের ওয়ানডে পরিসংখ্যানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ দল। একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে দুই দলের মুখোমুখি হয়েছে মোট ৭৮ বার। যেখানে ৫০টি ম্যাচেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে জিতেছে মাত্র ২৮টি ম্যাচে।