আজকের যায়যায়দিন

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে প্রকাশ্যে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান মোহনকে (৩২) কুপিয়ে হত্যা মামলার দুই আসামি মো. আসাদুল ইসলাম (৩৮) এবং মো. সুমন মিয়া (৩০)র্ যাবের সাথে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হয়েছে। রোববার দিবাগত রাতে গফরগাঁও-ভালুকা সড়কের গফরগাঁও উপজেলার ভারইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।র্ যাবের দাবি নিহতরা দুষ্কৃতকারী। নিহত আসাদুল উপজেলা রাওনা ইউনিয়নের ধোপাঘাট গ্রামের মো. নূরুল হকের ছেলে এবং মো. সুমন মিয়া একই গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে।

উলেস্নখ্য, উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের পাঁচুয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান মোহনকে ৪ জুলাই রোববার বিকাল ৬টার দিকে উপজেলার শিবগঞ্জ বাজারের বাসস্ট্যান্ডের যাত্রী ছাউনী এলাকায় আসাদুল ও সুমন ধারালো অস্ত্র (রামদা) দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করে। নিহত মোহনের সাথে আসাদুল ও সুমনের ভেকু দিয়ে মাটি কাটা নিয়ে বিরোধ ছিল। ৬ জুলাই নিহত মোহনের পিতা আব্দুল সাত্তার বাদী হয়ে আসাদুল ও সুমনকে আসামি করে গফরগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। গত ১১ জুলাই মামলাটি পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোহন হত্যা মামলার আসামি নিহত আসাদুল দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছিল। এর আগে সে গফরগাঁও-ভালুকা সড়কে ডাকাতি করত। তার নামে গফরগাঁও থানায় রোড ডাকাতির মামলাও আছে। মামলা হওয়ার পর সে সিঙ্গাপুর পালিয়ে যায়।

সড়কে সূত্রে জানা গেছে,র্ যাবের একটি টহল টিম রোববার দিবাগত রাতে গফরগাঁও-ভালুকা সড়কে টহল দেওয়ার সময় দুষ্কৃতকারীরার্ যাবের টহল টিমের ওপর গুলিবর্ষণ করলে আত্মরক্ষার্থের্ যাবও পাল্টা গুলি ছুড়ে। 'বন্দুকযুদ্ধের' সময় নিজেদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই দুষ্কৃতকারী আহত অবস্থায় ঘটনাস্থলে পড়ে ছিল। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. দেলোয়ার হোসেন জানান, 'সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে একটি পিকআপ ভ্যানে করের্ যাবের একটি দল এই দু'জনের লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে আসে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে আনার পথেই এই দু'জন মারা যায়।'

র্

সড়ক কেড়ে নিল ২০ প্রাণ

যাব-১৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু নাইম মো. তালাত জানান, এ ঘটনায় দুইর্ যাব সদস্য আহত হয়েছেন।