কয়েকটি দলের সঙ্গে আসন সমঝোতার কথা ভাবছে আ’লীগ

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনের আগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের পরিধি বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে এ নিবার্চনে ১৪ দলের বাইরে আলোচিত কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আসন সমঝোতার কথা ভাবছে ক্ষমতাসীন দলটি। আগামী নিবার্চনকে সামনে রেখে সম্প্রতি যে রাজনৈতিক মেরুকরণ শুরু হয়েছে এর ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট, মহাজোটের পরিধি বাড়বে কিনা তা নিয়েও জোর আলোচনা উঠে এসেছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, কনের্ল (অব.) অলি আহমেদের এলডিপি, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার এনডিএ, জাকের পাটির্সহ কিছু দল নিবার্চনের আগে আওয়ামী লীগের জোটে অন্তভুর্ক্ত হতে পারে বলে আলোচনা রয়েছে। এসব দলের নেতারাও আওয়ামী লীগের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। আওয়ামী লীগের দিক থেকেও এদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। তবে এ মুহূতের্ নতুন করে রাজনৈতিক জোট বা জোটের পরিধি বাড়ানোর চেয়ে নিবার্চনী আসন সমঝোতাকে গুরুত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের নীতিনিধার্রণী পযাের্য়র একাধিক সূত্র জানায়, বতর্মানে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যে ১৪ দলের জোট রয়েছে সেটা একটি আদশির্ক জোট। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সুনিদির্ষ্ট কিছু কমর্সূচির ভিত্তিতে এ জোট গড়ে উঠেছে। যে দলগুলো আলোচনায় রয়েছে তার মধ্যে কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ছাড়া অন্য দলগুলোর সঙ্গে মৌলিক কিছু বিষয়ে ১৪ দলের পাথর্ক্য রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে নিবার্চনকে সামনে রেখে জোটে নতুন দলের অন্তভুির্ক্ত নিয়ে কিছু জটিলতা আছে। দীঘির্দন ধরে এক সঙ্গে পথ চলে আসা ১৪ দলের শরিক দলগুলোরও এ ব্যাপারে আপত্তি রয়েছে। তাদের মতামতকেও আওয়ামী লীগ গুরুত্ব দিচ্ছে। ১৪ দলের একটি সূত্র জানায়, জোটের পরিধি বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে সবের্শষ গত ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ১৪ দলের সভায় আলোচনা হয়েছে। সেখানে জোট নেতারা আদশির্ক জোট ১৪ দলের পরিধি না বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন। জোটের নেতারা সভায় বলেছেন, নিবার্চনকে সামনে রেখে এই মুহূতের্ জোটের পরিধি না বাড়িয়ে যে দলগুলো যোগাযোগ করছে তাদের সঙ্গে নিবার্চনী সমঝোতা করা যেতে পারে। জোটের পরিধি বাড়ার সম্ভাবনা আছে কি না জানাতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিষয়টি আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছে। তবে এ ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর সবকিছু নিভর্র করবে। সময় আসুক, নিবার্চনের তফসিল ঘোষণার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ১৪ দলের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। এদিকে আওয়ামী লীগের নীতিনিধার্রণী পযাের্য়র ওই সূত্রগুলো আরও জানায়, ১৪ দলসহ বৃহত্তর পরিসরে জাতীয় পাটিের্ক নিয়ে যে মহাজোট রয়েছে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে সেই দলগুলোকে মহাজোটে অন্তভুর্ক্ত করা হতে পারে। সেটা সম্ভব না হলে এ দলগুলোর সঙ্গে নিবার্চনী আসন ভিত্তিক সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে বিষয়গুলো এখনও আলোচনার পযাের্য়ই রয়েছে। আওয়ামী লীগের সবোর্চ্চ নীতিনিধার্রণী ফোরাম কাযির্নবার্হী সংসদের সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বৃহস্পতিবার শেখ রাসেলের জন্মদিনের কমর্সূচিতে অংশ নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, অলরেডি তাদের সঙ্গে দেখা করেছে জাকের পাটির্, সাত দলীয় একটা বাম জোট অফিসে এসে একটা আবেদন রেখে গেছে। তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করতে চায়। ইসলামী ফ্রন্টের বাহাদুর শাহ, তিনিও আওয়ামী লীগের সঙ্গে নিবার্চনী ঐক্যে শামিল হতে চান। প্রতিদিনই দুই-একটা দল আবেদন বা দেখা করে তারা তাদের আগ্রহের কথা প্রকাশ করছে। তবে তারা এখনো এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না। সবার কথা শুনছেন। নেত্রী দেশে ফিরলে কাযির্নবার্হী সংসদে বসে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন কাকে জোটে নেবেন, কাকে নেবেন না। তাদের ইতোমধ্যে এদিকে ১৪ দল, ওইদিকে জাতীয় পাটির্ আছে।