শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় ভারতের চেয়ে মৃতু্যহার বেশি বাংলাদেশে

ম যাযাদি ডেস্ক
  ২৭ জুলাই ২০২১, ০০:০০

বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মার্চের পর থেকে মৃতু্যর হার বাড়ছে। জুন থেকে অবস্থার দ্রম্নত অবনতি হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত মোট শনাক্ত বিবেচনায় দেশে করোনায় মৃতু্যর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির ২৬ জুলাইয়ের তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে করোনাভাইরাসে মৃতু্যর হার ১.৩৪ শতাংশ। সেখানে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৪ লাখ ২০ হাজার ৫৫১ জন। বাংলাদেশে সোমবার পর্যন্ত মারা গেছেন ১৯ হাজার ৫২১ জন।

মোট মৃতু্যর হিসাবে ভারত বাংলাদেশের চেয়ে অনেক ওপরে থাকলেও দেখা যাচ্ছে করোনা আক্রান্ত প্রতি ১০০ জনে ভারতের চেয়ে বেশি রোগী মারা যাচ্ছেন

বাংলাদেশে।

ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ৬ মে ভারতে একদিনে ৪ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৩ জন করোনা পজিটিভ বলে শনাক্ত হন। এটিই দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ।

আর ফেব্রম্নয়ারি-মার্চের দিকে যেখানে দৈনিক মৃতু্য ১০০'র আশপাশে ছিল, ২৩ মে তা ৫ হাজার ১৫ জনে পৌঁছায়। ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যে বিপুল প্রাণহানি ঘটেছে এর জন্য দায়ী মূলত করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। বাংলাদেশেও এখন আক্রান্তদের মধ্যে এ ভ্যারিয়েন্টই বেশি পাওয়া যাচ্ছে।

বাংলাদেশের অবস্থার দিকে তাকালে দেখা যায়, এ বছরের এপ্রিলে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর মে মাসে তা কমে আসে বেশ খানিকটা। সে সময় দৈনিক সংক্রমণ ৫০০-এর নিচেও নেমেছিল। তবে সেটা স্থায়ী হয়নি। কয়েকদিন পর থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে এবং তা এখনো চলছে। চলতি মাসের শুরু থেকে দেশে লকডাউন চললেও এখনো তার ফল কার্যত দেখা যাচ্ছে না।

২৬ জুলাই (সোমবার) দেশে একদিনে ১৫ হাজার ১৯২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এটিই এখন পর্যন্ত দেশে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত।

আর মৃতু্যর হিসাবে দেখা যায়, ফেব্রম্নয়ারিতে যেখানে ১০ জনের আশপাশে ছিল দৈনিক মৃতু্য, জুলাইয়ের ৭ তারিখে প্রথমবারের মতো তা ২০০ ছাড়ায়। তারপর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১০ দিন প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ২০০-এর বেশি মানুষের মৃতু্য হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ মৃতু্য হয়েছে ২৬ জুলাই (সোমবার) ২৪৭ জনের।

এদিকে, দক্ষিণ এশিয়ার মৃতু্যর হারে বাংলাদেশের ওপরে আছে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ এখন মৃতু্যর হারে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে