সময়োপযোগী পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ | ২৭ জুলাই ২০২১, ০০:০০ | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২১, ০০:০৭

আমানুর রহমান

সময়ের চাহিদাকে বিবেচনায় নিয়ে নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন করতে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং কর্মক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা যেন পিছিয়ে না পড়েন সে লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কারিকুলামে কর্মমুখী বিভিন্ন বিষয় ও কোর্স অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছেন সংশ্লিষ্টরা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মো. মশিউর রহমান এ তথ্য জানিয়ে যায়যায়দিনকে বলেন, 'সময়ের চাহিদা ও একবিংশ শতাব্দী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে পিছিয়ে না পড়ে, সেজন্য কারিকুলামে পরিবর্তন আনা এবং কর্মমুখী শিক্ষা যুক্ত করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।' জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মো. মশিউর রহমানকে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন কারিকুলামের সম্ভাব্য যাচাই করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এ কমিটি করা হয়েছে। কমিটির সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোলস্না মাহফুজ আল হোসেন। অন্য সদস্যরা হচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়), মাউশি ও কারিগরি অধিদপ্তরের ডিজি, কুমিলস্না ভিক্টোরিয়া কলেজ ও রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী কলেজের অধ্যক্ষসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল, বুয়েট, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) একজন করে প্রতিনিধি রয়েছেন। সূত্র আরও জানান, এ কমিটি এরই মধ্যে দুটি বৈঠক করেছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলমান কারিকুলামে কর্মমুখী কোর্স অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাব্য যাচাই করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনদের। এখন যে শিক্ষার্থীর অনার্স ও মাস্টার্স শেষ হবে, তাদের বিভিন্ন যুগোপযোগী ও কর্মমুখী কোর্স করানো যায় কি না ডিনরা তার সুপারিশ ও সম্ভাব্য যাচাই করবেন। এক্ষেত্রে বিবেচনায় রয়েছে এবং কমিটি সুপারিশ হচ্ছে আইসিটি, ভাষা, ফিশারিজ, অ্যাগ্রো-প্রসেসিং ইত্যাদি কোর্স। নতুন এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন সম্পর্কে উপাচার্য বলেন, 'বিষয় অন্তর্ভুক্ত এবং কোর্স চালুর আগে দরকার দক্ষ ও মানসম্পন্ন শিক্ষক। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে শিগগিরই একটি রূপরেখা তৈরি করা হবে।' জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অধিভুক্ত সরকারি-বেসরকারি কলেজ রয়েছে ২ হাজার ২৭৪টি। এর মধ্যে ২৭৯টি সরকারি কলেজ আর বাকিগুলো বেসরকারি। সারাদেশে এর ক্যাম্পাস ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ।