বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার অনুরোধ ব্যবসায়ীদের

যাযাদি রিপোর্ট
  ৩০ জুলাই ২০২১, ০০:০০

গার্মেন্টসসহ সব ধরনের শিল্পকারখানা খুলে দিতে সরকারের কাছে আবারও অনুরোধ জানিয়েছেন মালিকরা। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা এই দাবি জানান।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলে দ্রম্নতই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে।

যদিও এর আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধে শিল্প-কারখানা চালু রাখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন

\হমালিকরা। কিন্তু সেই অনুরোধ রাখেনি সরকার।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, 'বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা সচিবের সঙ্গে দেখা করেছেন। আমাদের দাবি, লকডাউনে সব ধরনের শিল্পকে যেন কাজ করতে সুযোগ দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওনার মাধ্যমে এই অনুরোধ করেছি। তিনি বলেছেন, উনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। কথা বলে এই ডিসিশনটা খুব তাড়াতাড়ি দেবেন।'

তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি, সংক্রমণ, মৃতু্য সবকিছু মাথায় নিয়ে সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সরকার এটা বিবেচনা করবে বলে আশা করি।

ফারুক হাসান বলেন, ঈগের আগে ১৮ ও ১৯ জুলাই ৩০ হাজারের মতো কর্মীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকরা যখন ফ্যাক্টরিতে থাকে তখন তারা টিকা দিতে নিরাপদবোধ করে। যখন তারা গ্রামে থাকে তখন তারা দিতে চায় না। শ্রমিকরা গ্রামে থাকলে সেখানে ডাক্তার বা ওষুধের দোকান বা হসপিটাল নাই। কিন্তু যে ফ্যাক্টরিগুলো আছে, তার আশপাশে যদি তারা থাকে তাহলে শ্রমিকদের আমরা নিরাপত্তা দিতে পারি।

এ সময় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, কারখানা বন্ধ থাকলে সাপস্নাই চেইনটা ভেঙে যাচ্ছে। বন্দরে পণ্যের জট লেগে আছে। আন্তর্জাতিক বাজার হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় শিল্প-কারখানায়ও সাপস্নাই চেইনে সমস্যা হচ্ছে।

জসিম উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী জীবন-জীবিকাকে সামনে রেখে এগিয়ে গেছেন বলেই আমাদের প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক। এত কিছুর পরও ৫ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি ছিল।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা পরিচালনার বিষয়ে সরকারের কাছে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রম্নতি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে