আজকের যায়যায়দিন

মধ্যপ্রাচ্য বর্তমানে করোনার চতুর্থ ঢেউ পার করছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিস্নউএইচও) পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টার প্রভাবে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ব্যাপকভাবে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত

রোগী ও মৃতের সংখ্যা। সংবাদসূত্র :

আল-জাজিরা, হিন্দুস্থান টাইমস

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল শাখার পরিচালক ডা. আহমেদ আল-মান্ধারি এক বিবৃতিতে বলেন, 'করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের প্রভাবে ভূমধ্যসাগর উপকূলের এশীয় দেশগুলোসহ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিদিন বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগী এবং এ রোগে মৃতের সংখ্যা। আমরা এখন করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের মধ্যে আছি।'

ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী / সংলাপে বিরোধ নিষ্পত্তি করুন, যুদ্ধকে 'না' বলুন

ইরান, ইরাক, তিউনিসিয়া ও লিবিয়ায় করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে উলেস্নখ করে বিবৃতিতে ডা. আল-মান্ধারি বলেন, 'গত প্রায় চার সপ্তাহ বা এক মাস ধরে এই চারটি দেশে প্রতিদিন গড়ে তিন লাখ ১০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, মারা যাচ্ছেন গড়ে তিন হাজার ৫০০ জন। এর আগের মাসের তুলনায় গত চার সপ্তাহে এই দেশগুলোতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৫৫ শতাংশ, মৃতু্যর হার বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ।'

মান্ধারি বলেন, 'পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর হাসপাতালগুলোতে গত একমাসে বেড়েছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত রোগী থাকায় কোনো কোনো হাসপাতাল নতুন রোগী ভর্তি করা বন্ধ করে দিয়েছে। অনেক হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যা, স্বাস্থ্যকর্মী ও মেডিকেল অক্সিজেনের মজুত না থাকায় মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।'

মধ্যপ্রাচ্যে টিকাদান কর্মসূচি আরও ব্যাপক হওয়া প্রয়োজন উলেস্নখ করে ডবিস্নউএইচওর পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান বলেন, 'যতদিন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের উলেস্নখযোগ্য সংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতির আশা কম।'

ডবিস্নউএইচওর তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যে করোনা টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন চার কোটি ১০ লাখ মানুষ, যা এশিয়ার ওই অঞ্চলের মোট জনসংখ্যার মাত্র পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশ।

টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করা ব্যক্তিদের ৪০ শতাংশই মধ্যপ্রাচ্যের উন্নত দেশগুলোর নাগরিক। শতকরা হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের উন্নত দেশগুলোর মোট জনসংখ্যা ওই অঞ্চলের মোট জনসংখ্যার মাত্র আট শতাংশ।