শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লকডাউন আরও বাড়াতে চায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

যাযাদি রিপোর্ট
  ৩১ জুলাই ২০২১, ০০:০০

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী ৫ আগস্ট শেষ হতে যাওয়া চলমান বিধিনিষেধ আরও বাড়াতে চায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশীদ আলম এ কথা জানিয়েছেন।

খুরশীদ আলম বলেন, 'আমরা চলমান

কঠোর বিধিনিষেধ বর্ধিত করার কথা বলেছি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তবে বিধিনিষেধ বাড়ানোর বিষয়ে জাতীয় পরামর্শক কমিটি এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বা আলোচনা করেনি বলেও জানা গেছে।'

এ ছাড়া মাসে এক কোটি বা তারও বেশি টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে গণটিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে। সারা দেশের বিভাগগুলোতে বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করে আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত এই প্রস্তুতি চলবে। এরপর ওইদিন (৬ আগস্ট) স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে প্রস্তুতির আপডেট ও টিকা দেওয়ার বিশদ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানাবেন।

ডা. খুরশীদ আলম আরও বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দিতে শৃঙ্খলা রক্ষায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবার সহযোগিতা নেওয়া হবে। প্রতিমাসে এক কোটি টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বিদেশ থেকে সরবরাহ করা টিকা নিয়মিত না এলে, সরবরাহ ও প্রয়োগ বিবেচনায় পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হবে।

দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সর্বশেষ পবিত্র ঈদুল আজহার পর ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই বিধিনিষেধ থাকবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত। ওই ১৪ দিন সব ধরনের শিল্পকারখানাও বন্ধ থাকবে। এর আগের বিধিনিষেধের সময় শিল্পকারখানা খোলা ছিল।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলেছে, ঈদুল আজহা উদ্‌?যাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদের আগে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও ওইদিন ছয়টা থেকে ১৪ দিন খুবই কঠোর বিধিনিষেধ থাকবে। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার এ বছরের ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ দিয়ে আসছে। এর পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনও বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ বিধিনিষেধ জারি করেছিল। তবে এখন পর্যন্ত করোনা নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে