শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
বিশ্বকাপে চোখ

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শুরু আজ

আমিনুল ইসলাম লিটন
  ০৩ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
আপডেট  : ০৩ আগস্ট ২০২১, ০০:০৯

জিম্বাবুয়েকে তিন ফরম্যাটে সিরিজ হারিয়ে আসার পর ঘরের মাঠে বাংলাদেশ এবার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। অভিনব নতুনত্ব নিয়ে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টি২০ সিরিজ শুরু হচ্ছে আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। পাঁচ ম্যাচের টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে আজ মঙ্গলবার। সিরিজের বাকি ম্যাচগুলো হবে যথাক্রমে ৪, ৬, ৭ ও ৯ আগস্ট। সব খেলাই হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। প্রতিটি ম্যাচই শুরু হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন, গাজী টিভি ও টি-স্পোর্টস। আশঙ্কার খবর হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টায় মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় থাকায় এর প্রভাবে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই ঝটিকা সিরিজে বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জের বিষয় হচ্ছে, ৭ দিনের মধ্যেই টানা ৫টি ম্যাচ খেলতে হবে। যদিও টি২০, তারপরও ফিটনেসের বড় পরীক্ষা হবে। জিম্বাবুয়ে সফরে দীর্ঘ সিরিজ খেলার কারণে শারীরিক-মানসিক, সব দিক থেকেই ধকল গেছে ক্রিকেটারদের। এই পরীক্ষায় পাস করাটাও জরুরি। যদিও জিম্বাবুয়ে সফরে সাফল্য পাওয়া টাইগার ব্যাটসম্যানরাও আছেন দারুণ ফর্মে। সৌম্য, নাঈম, সাকিব, রিয়াদ, সোহান ও শামীমরা নিজেদের খেলাটা ঠিকমতো খেলতে পারলে অস্ট্রেলিয়া তেমন কঠিন প্রতিপক্ষ নয়। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মাঠের লড়াইয়ে দেখা হয় কালেভদ্রে। অন্য দুই ফরম্যাটে দুই দল দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেললেও টি২০তে এখনো মাঠে নামা হয়নি। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে টাইগার-অজিরা নিজেদের মধ্যে চারটি ম্যাচ খেলেছে বটে, তবে তার সবই বিশ্বকাপের মঞ্চে এবং সবকটিতেই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। সর্বশেষ ম্যাচটি খেলেছে ২০১৬ সালে। এবার প্রথমবারের মতো টি২০র দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি হবে দুই দল। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে এ যাবৎ বাংলাদেশ দল সর্বসাকুল্য টি২০ খেলেছে ১০২টি। বাংলাদেশ জিতেছে কেবল ৩৪টিতে। এর মধ্যে জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড আর সহযোগী সদস্য দেশগুলোর বিপক্ষেই আছে ২০ জয়। অর্থাৎ আফগানিস্তানসহ র?্যাংকিংয়ের বড় দলগুলোর বিপক্ষে আছে কেবল ১৪ জয়। বর্তমান টি২০ র?্যাংকিংয়ে ১০ নম্বরে থাকা বাংলাদেশকে তাই বিশ্বকাপের মূল পর্বে যেতে হলে পার হতে হবে প্রাথমিক পর্ব। টি২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। টেস্ট খেলুড়ে বাকি ১১ দলের মধ্যে ১০টি দলের সঙ্গে টি২০ ফরম্যাটে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেললেও এর আগে খেলা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এবার সে সুযোগ লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের সামনে। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ খেলতে গিয়ে অনেকগুলো শর্ত মেনে নিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) যত অদ্ভুত শর্ত দিয়েছে তা একরকম প্রহসন বললেও অতু্যক্তি হবে না। তবে চুপচাপ তাদের সব শর্ত মেনে নিয়েছে বিসিবি। মাঠে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ক্যামেরা ক্রুদের। দর্শকহীন গ্যালারিতে ক্যামেরা বসিয়ে ম্যাচ সম্প্রচার করতে হবে। ম্যাচের সময় প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়, দুই আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারির বাইরে আর কারও উপস্থিতি থাকতে দিচ্ছে না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার সেই অদ্ভূত আবদারও মেনে নিয়েছে বিসিবি। এ কারণে বেশ কিছু অভিনব নতুনত্ব প্রকাশ পাচ্ছে এ সিরিজে, যা এর আগে সম্ভবত ক্রিকেট ইতিহাসেই দেখা যায়নি। অস্ট্রেলিয়ার শর্ত মানতে গিয়ে এই সিরিজে খেলতে পারছেন না অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ও উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। আর ইনজুরির কারণে সিরিজ খেলতে পারছেন না দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদ নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দলে খেলবেন মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন, রুবেল হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। জিম্বাবুয়ে সফরের দলটি মূলত এই সিরিজে খেলবে। যদিও সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকারকে নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে ম্যাথু ওয়েডকে। চোটের কারণে ছিটকে গেছেন পেসার রাইলি মেরেডিথ। সুযোগ হয়েছে রিজার্ভে থাকা আরেক পেসার নাথান এলিস। চার বছর পর বাংলাদেশে আসা অস্ট্রেলিয়ার এই দলটা কিছুটা খর্বশক্তির। তবে সেটা মূলত ব্যাটিংয়ে। ওয়ার্নার-ফিঞ্চ-স্মিথ-ম্যাক্সি-স্টয়নিস না থাকাতেই। বোলিংয়ে কেবল প্যাট কামিন্স ছাড়া মূল সবাই আছেন। যথারীতি নতুন ও পুরনো দুই ধরনের বলেই সমান কার্যকর স্টার্কই হবেন মূল হুমকি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে