মইনুল হোসেনের গ্রেপ্তার দাবি

প্রকাশ | ২১ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে টেলিভিশনের টক-শোতে ‘চরিত্রহীন’ বলায় মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার এবং গণমাধ্যমে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করাসহ বিভিন্ন দাবিতে শনিবারও কমর্সূচি পালিত হয়েছে। আবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নারী সাংবাদিকরা মইনুল হোসেনের সব সংবাদ সাতদিন বজের্নর আহŸান জানিয়েছেন। শনিবার গৌরব ’৭১ সংগঠনের ব্যানারে রাজধানীর শাহবাগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফরিদপুর যুব সমিতি-ঢাকা নামে একটি সংগঠনের কমীর্রাও ছিলেন। তারা এই মানববন্ধনের প্রতি তাদের সমথর্ন জানান। কমীের্দর মাথায় সাদা, সবুজ ও হলুদ রঙের ক্যাপে লেখা ছিল মইনুলের বিচার চাই। মানববন্ধনে গৌরব ’৭১-এর সভাপতি এসএম মনিরুল ইসলাম রাজনীতির মাঠ থেকে মইনুল হোসেনকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পাশাপাশি গণমাধ্যমে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার আহŸান জানান। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহীন সংগঠনের কমর্সূচি ঘোষণা করে বলেন, আগামী শুক্রবারের মধ্যে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা না হলে তার বাড়ি ঘেরাও করা হবে এবং যুবসমাজ পথে নামতে বাধ্য হবে। মইনুল হোসেনকে ‘জামায়াত এজেন্ট’, ’৭৫-এর দালাল এবং এক-এগারোর কুশীলব হিসেবে আখ্যায়িত করেন আলোচকরা। মানববন্ধন শেষে মইনুল হোসেনের কুশপুত্তলিকায় একেকজন লাথি ও থুতু দিয়ে ঘৃণা প্রকাশ করতে থাকেন এবং পরে কুশপুত্তলিকায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। মানববন্ধন শেষে শাহবাগ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কযর্ হয়ে আবার শাহবাগে এসে শেষ হয়। নারী সাংবাদিকদের পক্ষে নাসিমুন আরা হকের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মইনুল হোসেনের বক্তব্য শুধু নারীর জন্য নয়, সব নাগরিকের জন্য অবমাননাকর, আপত্তিকর ও চরম অসহনশীলতার পরিচায়ক। তার মতো যারা রাজনৈতিক সহনশীলতার কথা বলেন, তাদের কাছ থেকে এ ধরনের শব্দ চয়ন উদ্বেগজনক এবং ভবিষ্যতে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের জন্য বিপজ্জনকও বটে। সুতরাং, তাকে প্রকাশ্য ক্ষমা চাইতে হবে। কিন্তু এখনো মইনুলের কাছ থেকে সে রকম কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী সাংবাদিকদের প্রতি চরম অবমাননাকর প্রচারণা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে মাসুদা ভাট্টিকে লক্ষ্য করে চালানো অপপ্রচার সব সীমা অতিক্রম করছে, তার নিরাপত্তা-সংকটও তৈরি হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, এ অবস্থায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন এই আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ায় এবং এখনো জনসম্মুখে ক্ষমা না চাওয়ায় তাকে সব ধরনের সংবাদ, অনুষ্ঠান এবং টক-শো থেকে বয়কট করার জোর আহŸান জানাচ্ছি। আমাদের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সম্মান রক্ষাথের্ই এই দাবি সঙ্গত বলেও আমরা মনে করি।’ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন একাত্তর জানাের্ল রাজনৈতিক সংবাদের বিশ্লেষণ চলছিল। এ সময় মইনুলের কাছে মাসুদা ভাট্টির প্রশ্ন ছিল, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে যে, সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব আপনি করছেন কিনা?’ এর জবাবে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি ‘চরিত্রহীন’ বলে আমি মনে করতে চাই।’