রোগীদের হোটেলে রেখে চিকিৎসার চিন্তা করছি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংকট দেখা দেওয়ায় সরকার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কম ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের হোটেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার সচিবালয়ে বিধিনিষেধ নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় \হসভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালগুলোর ৯০ ভাগ শয্যা ইতোমধ্যে পূর্ণ হয়ে গেছে। আইসিইউ বেড খালি আছে মাত্র পাঁচ শতাংশ। এ অবস্থায় করোনার কম ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের হোটেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার কথা চিন্তা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'যেসব রোগীর হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন পড়ে না, তাদের জন্য আমরা আলাদা হোটেল ভাড়া করার চিন্তা করেছি। যে হোটেলে ডাক্তার, নার্স এবং ওষুধপত্র থাকবে। কিছু অক্সিজেনের ব্যবস্থাও রাখব। কারণ, হাসপাতালে আর জায়গা নেই। আমরা এখন হোটেল খুঁজছি, যেখানে একটা ব্যবস্থা করতে পারি। যারা মৃদু আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের রাখতে পারি। তারা সেখানে চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে গেলে বাড়ি চলে যেতে পারবেন।' তিনি বলেন, পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে অন্যান্য শিল্পকারখানা খুলে দেওয়া হবে। পরিবহণ-দোকানপাট খুলবে। সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা পরে পাওয়া যাবে। হাসপাতালগুলোর ৯০ শতাংশ শয্যায় রোগী রয়েছে। আইসিইউ ৯৯ শতাংশ ভরে গেছে। এই চিন্তা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। সেটার কাজ চলমান রয়েছে। জাহিদ মালিক বলেন, 'স্থানীয়ভাবে টিকা উৎপাদন করতে সভায় জোর দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে চীনের সিনোফার্ম ও বাংলাদেশের একটি কোম্পানির সঙ্গে এই টিকা উৎপাদন করার কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আইন মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তিপত্রও আমরা পেয়ে গেছি। টিকার পাশাপাশি মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা ফোর্স (শক্তি প্রয়োগ) করতে চাই, তাহলে পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। যারা মাস্ক পরবে না, তাদের জরিমানা করতে পারে। এ জন্য অধ্যাদেশ লাগবে। আলোচনা হয়েছে, সেদিকেও আমরা যাব।' এ ছাড়া ৭ আগস্ট থেকে সাতদিনের জন্য দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন-ওয়ার্ডে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'এই সাতদিন আমরা প্রায় এক কোটি টিকা দেব। এই টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রামের যারা বয়স্ক, তাদের অগ্রাধিকার দেব। কারণ, তাদের মৃতু্য ৮০-৯০ শতাংশ। গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ্ব যারা, তারাই বেশি মারা যাচ্ছেন, সে কারণে টিকা আমরা গ্রামে নিয়ে যাচ্ছি। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাদের জন্য জন্মনিবন্ধনপত্র বা এসএসসির সনদ নিয়ে টিকা দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।' \হ