আইসিটি আইনের মামলায় আমীর খসরু কারাগারে

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
আইসিটি আইনের মামলায় রোববার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত Ñযাযাদি
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষাথীের্দর আন্দোলনের সময় নওমী নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ‘ফোনালাপ’-এর ঘটনায় দায়ের করা আইসিটি আইনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর গত ৪ আগস্ট কোতোয়ালি থানায় আইসিটি আইনে মামলাটি করেন। এই মামলায় এতদিন জামিনে ছিলেন খসরু। রোববার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে আমীর খসরুকে কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ দেন। আদালত সূত্র জানায়, রোববার রাষ্ট্রপক্ষ জামিন বাড়ানোর আবেদনের বিরোধিতা করেন। আদালতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন উপপরিদশর্ক (এসআই) সঞ্জয় গুহ ফোনালাপের অডিওটি বাজিয়ে শোনান। পরে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে খসরুকে কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ দেন। এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় দলের মহাসচিব মিজার্ ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিন্দা ও তার নিঃশতর্ মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে মিজার্ ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশে এখন সরকারি প্রতিহিংসার প্রবল প্রতাপ চলছে। এই প্রতিহিংসার ছোবলে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল, ভিন্নমত ও বিশ্বাসের মানুষদের ক্ষতবিক্ষত করছে। তারই একটি বহিঃপ্রকাশ ঘটল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে। তিনি বলেন, ‘নব্য বাকশালী শাসনের অন্তরায় মনে করেই আমীর খসরুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসন্ন নিবার্চনকে ভোটারশূন্য করার জন্য সরকার নানা ফন্দি এঁটে চলছে এবং এজন্য দেশব্যাপী বিএনপির নেতা-কমীের্দর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলার হিড়িক ও নিবির্চারে গ্রেপ্তারের মহা তৎপরতা চলছে।’ মিজার্ ফখরুল বলেন, ভোটারবিহীন একতরফা নিবার্চন করার জন্যই বতর্মান গণবিচ্ছিন্ন শাসকগোষ্ঠী জনমতকে তোয়াক্কা করছে না। আওয়ামী সরকার জনগণকে সবচেয়ে বড় শত্রæ মনে করে। বতর্মান রাষ্ট্রের সব অঙ্গকে করায়ত্ত করে সরকার নিজেকে অপ্রতিদ্ব›দ্বী ভাবছে। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য জনগণ যে আবশ্যিক নিয়ামক, সে কথাটি সরকার ভুলে গেছে। ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য সরকার দেশে বিভেদ-বিভাজন, সহিংসতা-সংঘাত, কুৎসা ও বিদ্বেষ জিইয়ে রাখছে। অনাচারের ওপর নিভর্র করেই সরকার টিকে থাকতে চাচ্ছে। কিন্তু তাতে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। তিনি আরও বলেন, মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সরকারের সব অপকমের্র জবাব দিতেই জনগণ পথে-পথে ব্যারিকেড তৈরি করবে। বিএনপিসহ দেশবাসীকে ভয় দেখানোর অপকৌশল হিসেবেই আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে কারাগারে নেয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারের সেই আশা পূণর্ হবে না। প্রতিটি গ্রেপ্তারেই বিএনপির নেতা-কমীর্রা সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে আরও বেশি উদ্দীপ্ত ও অঙ্গীকারবদ্ধ হচ্ছে।