গাড়ি-আইফোন ফেরত চাইলেন পরীমনি 'আমরা সন্তুষ্ট নই'

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

ম যাযাদি রিপোর্ট
গাড়ি, আইফোন ও প্রসাধনীর বাক্স জব্দ করায় 'ভোগান্তিতে' পড়েছেন জানিয়ে চিত্রনায়িকা পরীমনি আদালতে সেসব ফিরে পাওয়ার আবেদন করেছেন। বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি গাড়ি, ল্যাপটপ, আইফোন, প্রসাধনী ও চাবির বাক্সসহ অন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ফিরে পেতে আবেদন করেন। এদিকে, মাদক আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলামের দাখিলকৃত ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। এদিকে, বুধবার পরীমনি আদালতে করা তার আবেদনে বলেছেন, 'গাড়িটি আমার। গাড়ির সব কাগজপত্র আমার কাছে আছে। গাড়িটি না থাকায় আমি চলাচলে খুব সমস্যা বোধ করছি। মোবাইলের কারণে আমি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। জব্দ হওয়া প্রসাধনীর বাক্সটি আমার খুব প্রয়োজন। এ ছাড়া চাবির বাক্স রয়েছে। এগুলো আমার খুব প্রয়োজন। আমি অনুরোধ করছি এগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।' আদালতে তার অন্যতম আইনজীবী নীলাঞ্জনা \হরেফাত সুরভীও শুনানিতে একই কথা বলেন। বক্তব্য শুনে বিচারক এসব জিনিসের মালিকানা যাচাই করে তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলেরও দিন ধার্য ছিল বুধবার। তদন্ত কর্মকর্তা এদিন প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিচারক নতুন করে আগামী ১০ অক্টোবর প্রতিবেদন দেওয়ার দিন ঠিক করেন। 'আমরা সন্তুষ্ট নই' এদিকে, মাদক আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলামের দাখিলকৃত ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আদালতে পরীমনির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও মো. মুজিবুর রহমান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহিয়া দুলাল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান। আদালতে দুই বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলামের দাখিলকৃত ব্যাখ্যা পর্যালোচনা করে হাইকোর্ট বলেন, দুই বিচারক কী ব্যাখ্যা দিয়েছে তা একটু শোনাতে চাই। 'রাষ্ট্র মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। অত্র মামলার আসামি সামসুন নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনি বিদেশি মদ, এলএসডি আইসসহ গ্রেপ্তার হন।' এ সময় আদালত জানতে চান এলএসডি বিদেশি মাদক রাখার সাজা কত বছরের? জবাবে আইনজীবীরা বলেন, ৫ বছর। তারপর হাইকোর্ট বলেন, তারা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেটা সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন এবং আমাদের প্রচলিত আইনের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডের বিষয়ে তারা যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। এ কারণে এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর রাখলাম। তদন্ত কর্মকর্তা সিডি (মামলার নথি) দাখিল করেছে। সেটি আমরা গ্রহণ করেছি। প্রসঙ্গত, মাদক মামলায় তিন দফায় সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। প্রায় এক মাস বন্দি থাকার পর ১ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।