জাফরুল্লাহ চৌধুরী

আমাদের কপাল খুলে গেছে

প্রকাশ | ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
সংলাপের প্রশ্নে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা চা খাওয়ানোর দাবি করেছিলাম, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ডিনার করাবেন। আমাদের কপাল খুলে গেছে। দেশবাসীর কপালও খুলে গেছে।’ মঙ্গলবার দুপুরে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত এক সভার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ কথা বলেন। মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীরের নাগরিক ঐক্যে যোগদান উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। রাজধানীর তোপখানা সড়কের বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের মিলনায়তনে এর আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে যাবেন কিনাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমি জানি না। বিকাল ৩টায় মিটিং। তখন ঠিক হবে, কে যাবে না যাবে। যদি যাই, তবে সাত দফা নিয়ে আলাপ করব।’ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশবাসী পরিবতর্ন চাইছে। দেশবাসী এই অনাচার আর চায় না। হাজার হাজার মানুষ গায়েবি মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছে। এটা প্রমাণ করে, এখানে ইসলামাবাদের শাসন কায়েম হয়েছে। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সংলাপে ডেকেছেন, সেই সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা নিয়ে কথা বলুন। আমরা আপনাদের সব ধরনের সহযোগিতা করব। আমরা আপনাদের সঙ্গে কোনো ছলচাতুরি করতে যাচ্ছি না, আন্তরিকভাবেই সংলাপ করতে চাই, একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নিবার্চন আয়োজন নিয়েই আমরা কথা বলব।’ মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, ‘আমরা সংলাপে যাব। এর মধ্যে কোনো রিজারভেশন নেই। আমরা ডাকলেই যাব, কোনো এজেন্ডা ছাড়াই যাব। আমরা সাত দফা নিয়ে যাব। সাত দফাই মানতে হবে। কোনো রকম দ্বিধাদ্ব›েদ্বর কিছু নেই, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি আমাদের ///////// দাবি।’ মান্না বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সঙ্গে যা করা হচ্ছে, সেটা নেহাতই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা বলতে চাই, যাই করব আন্তরিকভাবে করব। আমাদের এই আন্দোলন প্রতিহিংসার নয়। আমরা কারও গণতান্ত্রিক আন্দোলন কেড়ে নেব না। আমরা কারও ওপর আক্রোশ করব না, তবেই এটা ঠিক বিচার হবে।’ আলোচনার শুরুতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় শুভেচ্ছা জানানো হয়। তিনি নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে ‘স্বাধীনতা পাটির্’ নামের একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন। নঈম জাহাঙ্গীর বলেন, নাগরিক ঐক্য কোনো বড় সংগঠন নয়, তবে এটি স্বৈরশাসন, হত্যা, গুম-খুন, অন্যায়সহ যত আচরণ হয়, হচ্ছে এর বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার। দেশের নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ করার কমর্সূচি দেয়া হয়। দেশে একটি অনিবাির্চত সরকার অথচ তারা নিবাির্চত বলে দাবি করছে। এই সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। লাখো হাজার কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে, কোনো জবাবদিহি নেই।