ভোটের তারিখ চ‚ড়ান্ত করতে ৩ নভেম্বর বসছে ইসি

প্রকাশ | ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে ৩ নভেম্বর বৈঠকে বসবে নিবার্চন কমিশন। সেখানে যে তফসিল অনুমোদন পাবে, তা বিটিভি ও বেতারে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ঘোষণা করবেন প্রধান নিবার্চন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। তবে কবে সেই ঘোষণা আসবে তা এখনও প্রকাশ করেননি নিবার্চন কমিশনের কমর্কতার্রা। ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান মঙ্গলবার বলেন, বুধবার ইসিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডাকা হয়েছে। পরদিন চার নিবার্চন কমিশনার ও ইসি সচিবকে নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা। ৩ নভেম্বর বিকাল ৩টায় নিবার্চন কমিশনের ৩৮তম সভা বসবে। এই সভায় একাদশ সংসদ নিবার্চন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হবে। ৩১ অক্টোবর একাদশ সংসদ নিবার্চনের ক্ষণ গণনা শুরুর পর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই যে তফসিল ঘোষণা হতে পারে, সে কথা আগেই জানিয়েছিলেন নিবার্চন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। গত সপ্তাহে তিনি বলেছিলেন, ‘কমিশন সভায় তফসিল অনুমোদন হবে। এরপর বিটিভি ও বেতারে জাতির উদ্দেশে ভাষণের মধ্য দিয়ে তফসিল ঘোষণার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ সবের্শষ দশম সংসদ নিবার্চনের তফসিলও জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়েছিল। ইসি কাযার্লয়ে সিইসির সেই ভাষণ রেকডর্ করা হবে। তারপর নিধাির্রত সময়ে তা প্রচার করা হবে। ধারণ করা হচ্ছে, ভাষণ সাধারণত সন্ধ্যায় প্রচার করা হয়। দশম সংসদ নিবার্চনের তফসিল ঘোষণার আগে বিটিভি মহাপরিচালক ও বেতার মহাপরিচালক ইসি সচিবের দপ্তরে এসেছিলেন। তফসিল ঘোষণার দিন ২৫ নভেম্বর সিইসির ভাষণ ধারণের জন্য দুপুরেই প্রস্তুতি শুরু হয় কমিশন কাযার্লয়ে। বিটিভির তৎকালীন মহাপরিচালক নিজে উপস্থিত থেকে সিইসির কক্ষ সাজানোর বিষয়টি তদারক করেন। পরে তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদের প্রায় আধা ঘণ্টার সেই ভাষণ ধারণ করা হয়। সেদিন সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে রেকডির্ং শেষে কমিশনের বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সিইসি বলেছিলেন, তার ভাষণে ‘সব’ প্রশ্নের উত্তর মিলবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচারিত সিইসির সেই ভাষণে দশম সংসদ নিবার্চনের সময়সূচি ঘোষণা করা হয়। ইসির নিবার্চন পরিচালনা শাখার কমর্কতার্রা জানান, মনোনয়ন দাখিল, বাছাই, প্রত্যাহারের শেষ সময় এবং প্রতীক বরাদ্দ শেষে প্রচারের পযার্প্ত সময় দিয়ে তফসিল ঘোষণা থেকে ভোটের দিন পযর্ন্ত ৪০-৪৫ দিন সময় রাখা হয়। সেই হিসাব ধরে ডিসেম্বরের শেষ দিকে ভোট আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েই সাবির্ক প্রস্তুতি নিচ্ছে নিবার্চন কমিশন।