মার্কিন গবেষণায় তথ্য

মডার্নার বুস্টার ডোজ অ্যান্টিবডি বাড়াতে সবচেয়ে কার্যকর

প্রকাশ | ১৫ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বিশ্বের প্রথম এক ডোজের করোনা টিকা জনসন অ্যান্ড জনসনের ডোজ যারা নিয়েছেন, তাদের দেহে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি সর্বোচ্চ মাত্রায় বাড়াতে সক্ষম মডার্নার বুস্টার ডোজ। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বায়োমেডিকেল ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সরকারি গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিটিউট (এনএইচআই)'র গবেষণা বলছে, যারা মডার্নার টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন, তাদের শরীরের অ্যান্টিবডি ফাইজার বা জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার বুস্টার ডোজের তুলনায় বেশি। কোন করোনা টিকার বুস্টার ডোজে মানবদেহে কী পরিমাণ অ্যান্টিবডির উপস্থিতি থাকে তা জানতে সম্প্রতি এই গবেষণা চালিয়েছে সংস্থা দুটি। গবেষণায় অংশ নিয়েছেন ৪৫৮ জন স্বেচ্ছাসেবী। স্বেচ্ছাসেবীরা সবাই কমপক্ষে ১২ সপ্তাহ আগে অনুমোদিত ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না বা জনসন অ্যান্ড জনসন টিকার যে কোনো একটির ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন। তিনটি দলে ভাগ করা হয় স্বেচ্ছাসেবীদের। তারপর বুস্টার ডোজ হিসেবে প্রথম দলকে ফাইজার, দ্বিতীয় দলকে মডার্না ও তৃতীয় দলকে জনসনের টিকা দেন গবেষকরা। ১৫ দিন পর তাদের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, যারা জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা নিয়েছেন, একই ধরনের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার পর করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি চার গুণ বেড়েছে তাদের দেহে। ফাইজারের টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের অ্যান্টিবডি বেড়েছে ৩৫ গুণ; আর মডার্নার টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহণকারী ব্যক্তিদের অ্যান্টিবডি বেড়েছে ৭৬ গুণ। বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর কারও শরীরে বড় ধরনের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলেও জানানো হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনে। তবে এই গবেষণা প্রতিবেদন এখনো পিআর রিভিউ পর্যায়ে যায়নি। এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে গবেষণাটির। তারা বলছেন, প্রথমত- এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ছিল কম। দ্বিতীয়ত- গবেষণায় ১৫ দিন ধরে অংশগ্রহণকারীদের পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে; কিন্তু তারপর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমেও যেতে পারে।