শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স জনবল সংকটে ধুঁকছে

আহসানুল হক চন্দন
  ১৬ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে প্রয়োজনের তুলনায় জনবল কম থাকায় চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হাসপাতালে আসা রোগীদের প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

জানা গেছে, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম। ২৯ জন চিকিৎসকের মধ্যে ১২ জন থাকলেও একজন আছেন জেলা সদর হাসপাতালে। গাইনি চিকিৎসক থাকলেও সিজার ব্যবস্থা না থাকায় গর্ভবতী প্রসূতিরা উপজেলার একমাত্র হাসপাতাল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

প্রতিদিন হাসপাতাল থেকে দুই শতাধিক রোগী চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করলেও ৪০ শতাংশের বেশি মানুষকে ওষুধ কিনতে হয় বাহির থেকে। শুধুমাত্র প্যাথলজি কার্যক্রম সচল থাকায় সেখান থেকে স্বল্প মূল্যে সেবা গ্রহণ করছেন সাধারণ মানুষ। হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন সচল থাকলেও দীর্ঘদিন থেকে টেকনিশিয়ানের অভাবে এক্স-রে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাসপাতালে আসা রোগীরা। আর এসব সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষ যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ না করায় হাসপাতালে সচল মেশিন ও যন্ত্রপাতি বিকল হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, হাসপাতাল থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে হ পৃষ্ঠা ২ কলাম ৫

রোগীরা ব্যক্তি মালিকানাধীন ক্লিনিকে বাধ্য হয়ে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। অথচ হাসপাতালে একটি ইসিজি মেশিন ও একটি এক্স-রে মেশিন জনবল সংকটের কারণে পড়ে আছে। অপারেশন থিয়েটার সচল থাকলেও অ্যান্থেসিয়া চিকিৎসক, ওয়ার্ড বয় ও আয়া না থাকায় বন্ধ রয়েছে অপারেশন থিয়েটার। ফলে ছোট ছোট অপারেশন ছাড়া সিজারসহ অন্যান্য অপারেশনের জন্য পার্শ্ববর্তী জেলা রংপুরে যেতে হয় রোগীদের।

কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু শফি মাহমুদ বলেন, হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার চালু করার জন্য পর্যাপ্ত জনবল প্রয়োজন। বিশেষ করে সার্জন, অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক, ওয়ার্ড বয় ও আয়া দরকার। কিন্তু জনবল না থাকায় অপারেশন থিয়েটার চালু করা যাচ্ছে না। আমরা সিভিল সার্জন অফিসে জনবলের জন্য চাহিদা পাঠিয়েছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে